সকাল নারায়ণগঞ্জ:
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে স্কুল ছাত্রসহ দুইজন নিহত ও দুইজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
নিহত শিশু জিসানের বাবা মামুন বাদি হয়ে বাড়ির মালিক দুই ভাই সাঈদ ও সোলায়মানকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো একজনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন।
মামলায় বাদি অভিযোগ করেন, বাড়ির মালিক দুই সহোদর সাইদ ও সোলায়মান রাজউক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে তিনতলা বাড়িটি নির্মাণ করেছেন। পাশাপাশি বাড়ির নিচতলায় রুমের ভেতরে ঝুঁকিপূর্ণ সেপটিক ট্যাংক স্থাপন করেছেন। তবে ট্যাংক এর ভেতরের বিষাক্ত বাতাস বা গ্যাস নির্গত হওয়ার জন্য কোন পাইপ লাগানো হয় নি। সেই ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সেপটিক ট্যাংক সঠিক ব্যবস্থাপনায় না থাকায় বিস্ফোরণ ঘটে এবং দুইজন নিহত ও আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন আরো জানান, এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বাড়ির মালিক দুই ভাই সাঈদ ও সোলায়মানসহ বাড়ি নির্মানকালিন ঠিকাদারকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার রামারবাগ এলাকায় ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন সাইদ-সোলায়মান নামের দুই সহোদরের মালিকানাধিন তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় সেফটি ট্যাংক বিস্ফোরন ঘটে। এই দূর্ঘটনায় একই এলাকার মামুনের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র জিসান (৯) ও পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া গার্মেন্ট শ্রমিক রাজ্জাক (৩২) নিহত হন। দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন একই এলাকার পিয়ার আলীর ছেলে দশ বছরের শিশু সাকিব ও খাইরুলের স্ত্রী গৃহবধূ শাহিদা বেগম (৩৫)। দগ্ধ শিশু শাকিব বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।