সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নে আলগীরচর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দৈনিক রুদ্রবার্তা পত্রিকার সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের পরিবারের ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ৭ জন আহত হয়েছে। এসময় হামলাকারীরা বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করেছে।আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের বড় ভাই মোঃ মনির হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীর চর গ্রামের হযরত আলী ওরফে হযরত ডাকাতের পরিবারের সঙ্গে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছে। এরই জের ধরে বুধবার সকালে হযরত আলীর নাতি মুরাদের সঙ্গে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের ভাতিজা রিয়াদের কথাকাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে এ ঘটনায় মুরাদ তাদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি প্রচার করলে হযরত আলীর নেতৃত্বে আমিন, আব্দুর রহিম, জুয়েল, জুম্মন, ইয়ানুস, আল আমিন, ইমান আলী, নুরুল ইসলাম, মুরাদ, ইমরান ও শাকিলসহ ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র শাবল, ছেনদা, লোহার রড, গ্যাসের পাইপ, কুড়াল, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করতে থাকে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের মা রাশিদা বেগম, বড় ভাই শহিদ, ভাবি ইয়াসমিন ভাতিজা রমজান, রিয়াদ ও সুজনকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার ভাবিকে শ্লীলতাহানী করে বলে অভিযোগ উঠে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।
হামলার খবর শুনে এ মামলার বাদি মনির হোসেন বাড়িতে আসার সময় আলগীরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাকেও এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হযরত ডাকাতের পরিবার উশৃঙ্খল। তাদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। হযরত ডাকাত ও তার ছেলে আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ বন্দরসহ বিভিন্ন থাকায় ডাকাতি, অস্ত্র ও ধর্ষণসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হযরত ডাকাতের পরিবারের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা চলছে।
আলগীর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্রয়লার মুরগীর খামার গড়ে তোলেন হযরত ডাকাতের মেয়ের জামাই আমিন। এ নিয়ে সাংবাদিকরা তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে। এতে আমাকে দোষারোপ করে তারা। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আমাদের পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে হযরত ডাকাত ও তার পরিবার।
অভিযুক্ত হযরত আলী ওরফে হযরত ডাকাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। পোলাপাইন মনে হয় ঝগড়াঝাটি করেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।