সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (সিয়াম তালুকদার)
মপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইস্যুতে এবার রুখে দাড়িয়ে বিশাল প্রতিবাদ করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের ঘটনায় এই প্রতিবাদ সভা করেছে সোনারগাঁ উপজেলা ও পৌরসভা জাতীয় পার্টি।
মঙ্গলবার বিকেলে সোনারগাঁ জি.আর. ইনষ্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামানের সভাপাতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আহব্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহিন জেলা যুগ্ম আহব্বায়ক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন জাতীয় যুব সংহতি ঢাকা বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রাজা হোসেন রাজা যুব সংহতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিপন ভাওয়াল রূপগঞ্জ উপজেলা জাপা সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি কাজি মহসিন সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আড়াই হাজার উপজেলা সভাপতি এডভোকেট এম এ হান্নান সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন মোল্লা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম ইকবাল, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি, পিরোজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সোনারগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি, ফারুক আহম্মেদ তপন, দুলাল মিয়া, জাতীয় পার্টি নেতা মোহাম্মদ আলী, রেজাউল করিম, সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুল হক মাষ্টার প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, এমপি খোকার উন্নয়ন দেখে ইষার্ণিত হয়ে একটি মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
এমপি খোকা গত ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সোনারগাঁ জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান ফটকে জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজের সাঁটানো ফলক ভাঙ্গেননি বা ভাঙ্গার নির্দেশও দেননি। অপপ্রচারকারীরা নিজেরাই ভেঙ্গে এমপি খোকাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তাকে দোষারোপ করছেন।
বক্তারা আরও বলেন, সোনারগাঁ জি. আর. ইনষ্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া ও গভর্ণিংবডির সদস্য দুলাল মিয়ার একটি ফোনালাপে এমপি খোকা যে নির্দোষ তা প্রমাণিত হয়েছে। মহাজোটের প্রার্থী হয়ে এমপি খোকা নির্বাচিত হয়েছেন। এমপিকে নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সোনারগাঁ জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান ফটকে সাঁটানো নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামে লাগানো নাম ফলকটি কে বা কাহারা ভেঙে পালিয়ে যায়।
এ নাম ফলকটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দাতার অভিযোগ এনে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর আ’লীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। এনিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টি ও জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ লিখিত ভাবে এ অভিযোগের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ভাবে বিবৃতি দেয়।
বিবৃতিতে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা এ ঘটনার সাথে জড়িত নন উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।এদিকে এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নানা আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে।
অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। কেউ বলেন আগের নাম ফলক অসম্পূর্ণ ছিল, বানানেও ভুল ছিল। তাই ইচ্ছাকৃতভাবেই এটা ভাঙ্গা হয়েছে।