সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্দ নগর এলাকার মিলন মিয়ার মেয়ে মারিয়া (১৯)কে হত্যা করার অভিযোগ এনে দায়েরকৃত মামলার আসামী নিহতের স্বামী সারওয়ার হোসেন সোহেল (২৮)কে মঙ্গলবার রাতে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে নিহতের স্বজনরা।
সারওয়ার হোসেন সোহেল চাঁদপুর জেলার মতলব থানার নয়াকান্দী গ্রামের রফিকুল মোল্লার ছেলে।
নিহত মারিয়ার পিতা মিলন মিয়া জানান, ‘৫ মাস আগে মারিয়ার সাথে সোহেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পালিয়ে যাবার ২ মাস পর তাদের খোঁজ পাওয়া যায় এবং বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে মারিয়ার পরিবারের লোকজন বিয়ের স্বীকৃতি দিয়ে গত ২ মাস আগে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ের একটি জাকজমক অনুষ্ঠান করে।
বিয়ের পর তারা সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিলে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। বিয়ের অনুষ্ঠানের ৩ দিন পর উক্ত ভাড়া বাসার মালিকের মেয়ের সাথে সোহেলের পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে মারিয়া ও সোহেলের মধ্যে এ নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মারিয়াকে সোহেল সহ উক্ত ভাড়া বাসার লোকজন বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। সোহেল এ বিষয়ে তার শশুর বাড়ির লোকজনকে জানায়, মারিয়াকে মারধর করার পর সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। উক্ত ঘটনার রাতেই মিলন মিয়াকে তার মেয়ে মারিয়া মারা গেছে বিষয়টি ফোনে ভাড়া বাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পরবর্তীতে মিলন মিয়া বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সারওয়ার হোসেন সোহেলকে বিবাদী করে একটি মামলা এবং সারওয়ার হোসেন সোহেল, তার পিতা রফিকুল মোল্লা, ভাড়া বাসার মালিক ফকির চাঁন ও তার মেয়ে কেয়াকে বিবাদী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে সোহেল মারিয়াদের বাড়িতে আসলে তাকে স্থানীয়রা ও নিহতের স্বজনেরা আটক করে ৯৯৯ এ ফোন করলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) ফারুক হোসেন সোহেলকে থানায় নিয়ে যায়। বুধবার (২১ অক্টোবর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
নিহত মারিয়ার বাবা মিলন মিয়া আরও জানান, ‘পরিকল্পিতভাবে ও মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের নিকট আমি জোড়ালো দাবী জানাচ্ছি’।