সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নারায়ণগঞ্জে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে—তিন আসামি আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
এই ঘটনায় তিনজনই কারাগারে আছেন। অথচ ৫১ দিন পর সেই কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরী এখন একজনকে বিয়ে করে সংসার করছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে সোমবার (২৪ আগষ্ট) বলেন, ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে সপ্তাহ দুয়েক আগে তিন আসামি অটোরিকশা চালক রকিব (১৯), আব্দুল্লাহ (২২) ও মাঝি খলিল (৩৬) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নিখোঁজ হওয়ার ৫১ দিন পর মেয়েটি বাড়িতে টাকা চেয়ে ফোন করলে পরিবারের সবাই নিশ্চিত হন, মেয়েটি বেঁচে আছে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে সপ্তাহ দুয়েক আগে তিন আসামি অটোরিকশা চালক রকিব (১৯), আব্দুল্লাহ (২২) ও মাঝি খলিল (৩৬) আদালতে জবানবন্দি দেন। নিখোঁজ হওয়ার ৫১ দিন পর মেয়েটি বাড়িতে টাকা চেয়ে ফোন করে।
পুলিশ রোববার (২৩ আগষ্ট) ৭ কিশোরীকে উদ্ধার করে। ওই কিশোরীর স্বামী ইকবালকে আটক করা হয়েছে। ইকবাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশে জানিয়েছেন, তাঁরা বিয়ে করে বন্দর এলাকায় একটি বাড়িতে বসবাস করছেন।