সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
আবারো পাগলার গ্রীন ডেলটা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা। এবার তাদের ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেল আয়শা আক্তার আলপি (১৪) নামের এক কিশোরীর। ভাঙ্গা পা অপারেশন করতে গিয়ে মাজায় ইনজেকশন পুশের কারণে আশঙ্কাজনক আলপি দুইদিন পরে আজ রোববার(২৩ আগষ্ট) সকালে মারা যায়।
নিহত আলপি পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী এবং নয়ামাটি এলাকার শাহাদৎ হোসেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মিজানুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় গ্রীন ডেলটা হাসপাতালের কার্যক্রম নিয়ে এলাকায় আবারো তোলপাড় শুরু হলে হাসপাতালের লোকজন পালিয়ে যান।
আলপির বাবা মিজানুর রহমান জানান, গত বুধবার (১৯ আগস্ট) বিকাল ৫টায় পাঁচ তলার ছাদে খেলতে গিয়ে পিছলে পড়ে পা মচকে যায় আলপির। এ অবস্থায় আলপিকে পাগলার গ্রীন ডেলটা হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে চিকিৎসার জন্য আমির হোসেন লিটনের সাথে কথা বলেন ।
লিটন আলপির বাবাকে ডাঃ মোঃ মাসুদ রানার সাথে এ ব্যপারে কথা বলতে বলেন। মিজানুর রহমান ডাঃ মোঃ মাসুদ রানাকে জানালে তিনি বলেন আপনার মেয়ের পা ভেঙ্গে গেছে। আপনার মেয়ের পা অপরেশন করতে হবে। অপারেশনের জন্য ৫০ হজার টাকা লাগবে। এরপর আলপির বাবা সেই অপারেশনের জন্য ৪৫ হাজার টাকায় রাজি হন।
কথামতো ডাঃ মোঃ মাসুদ রানা বৃহ্পতিবার (২০ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় আলপির পায়ের অপারেশন করতে রুমে নিয়ে তার মাজায় একটি ইনজেকশন পুশ করার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পরে । অপারেশনের জন্য তাকে অজ্ঞান করার জন্য Anthesia ইনজেকশন পুশ করা হয় ভুল জায়গায়, যার ফলে কার্যকারিতা না পাওয়ায় তারা আবারো ইনজেকশন পুশ করে এবং ওভার ডোজের কারনে একপর্যায়ে কোমায় চলে যেতে থাকে আলভী। মূহুর্তের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে যায় আলভীর পুরো শরীর।
অবস্থা বেগতিক দেখে গ্রীন ডেলটা কতৃপক্ষ জানায় আলফির আই.সি.ইউ সাপোর্ট লাগবে। এরপর তাকে যাত্রাবাড়ী ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। দুই দিন সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখার পর আজ সকাল ৭ টায় চিকিৎসাদিন অবস্থায় আলপি মারা যায়।
আলফির ভাই শান্ত জানান, অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেয়ার পূর্বেও আমার বোন স্বাভাবিক ছিলো, কথা বলছিলো। চোখের সামনে এভাবে হারিয়ে ফেললাম আমার বোনকে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
উল্লেখ্য,এই হাসপাতালের প্রতি নানা অভিযোগ রয়েছে। এই হাসপাতালে পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানান প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা। প্রতারণা আর ভুল চিকিৎসার কারনে রোগীরা ভুগছেন এমনকি অনেক রোগী মারাও যাচ্ছেন।
এই বিষয়ে ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম জানান, আলপির মৃত্যুর বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।