সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নারায়ণগঞ্জের ১২ নং ওয়ার্ডের আলোচিত গঞ্জে আলী খাল পুনখননের কাজ খানপুর রেললাইন থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত সম্পন্ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ কাজ প্রায় শেষের দিকে তবে কাজ শেষ হলেও একজন কাউন্সিলরের মার্কেটের পানি এ খালের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল হচ্ছেনা। তাকে বার বার বলা হলেও তিনি পানি নিষ্কাশন সচল করতে তার মার্কেটটি সরিয়ে নিচ্ছেন না।
ইতোমধ্যে এ খাল খননের কাজ প্রায় শেষের দিকে। নানা চড়াই উতরাই ঝামেলা শেষ করে, স্থানীয়দের সাথে একাধিকবার বৈঠক করে, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে এবং নাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বেচ্ছাসেবী পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহায়তায় এ খাল খননের পর সচল করা হয়েছে। একসময় যেমন এখানে পানির ঢেউ খেলা করতো আবারো সেই ঢেউ খেলা করবে বলে প্রত্যাশা ছিল স্থানীয়দের। তবে খাল খনন শেষের দিকে থাকলেও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনো সচল না হওয়ায় ক্ষুব্দ সকলে।
জানা যায়, ১২ নং ওয়ার্ডের সকল অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং সমস্যা সমাধান করে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার ফলে এখানে কোন সমস্যা নেই। এ ওয়ার্ডে গঞ্জে আলী খালের পানি সচল হয়েছে। তবে এ খালের একটি অংশ রয়েছে ১১ নং ওয়ার্ডে। সেখানে গিয়ে খালের পানি নিষ্কাশনে বাধাপ্রাপ্ত হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টুর একটি মার্কেট এ খালের উপর রয়েছে। সে মার্কেটের কারণে এখন ঝন্টু খালের পানি নিষ্কাশন নিয়ে ভাবছেন না। তিনি তার মার্কেটটি সরিয়ে নিচ্ছেন না বলে এই খালের পানি বাধাগ্রস্থ হয়ে সচল হচ্ছেনা। সিটি করপোরেশনের খাল খননের প্রজেক্টে একজন কাউন্সিলর হিসেবে তিনি এ মার্কেট না সরিয়ে উন্নয়ন কাজে বাধা দিচ্ছেন বলেই মনে করে স্থানীয়রা।
এমন অবস্থায় সকলেই কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুর কাছে জানতে চান কেন এখনো খননের শেষ দিকে এলেও পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা।
কাউন্সিলর শকু জানান, মূলত আমাদের ওয়ার্ডের যেসকল কাজ ছিল সেগুলো আমরা সম্পন্ন করেছি। আমাদের ওয়ার্ডে খাল খননের কাজে আশেপাশের যত অবৈধ স্থাপনা ছিল সেগুলো উচ্ছেদ করেছি। সমস্যা বেধেছে ১১ নং ওয়ার্ডে। সেখানে স্থানীয় কাউন্সিলরের একটি মার্কেট খালের পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্থ করছে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনকে অবহিত করা হয়েছে। এ মার্কেটটি সরিয়ে না নিয়ে এই খাল খননের সুফল কেউ ভোগ করতে পারবেনা।
তিনি আরো বলেন, ঝন্টুর নিয়ন্ত্রণেই এখনো গঞ্জে আলী খালের অনেকাংশ রয়েছে। তার মার্কেটটিও তিনি এখনো সরাননি।
চাঁদমারি এলাকার গঞ্জে আলী খালের দখলে থাকা হাসমত আলী জানান, আমার তো এখানে স্থাপনা ছিল কিন্তু মানুষের কথা চিন্তা করে আমি দখল ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন তো দেখতে পাচ্ছি ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ কেউ দখল ছাড়েনি। তাহলে আমরা কেন ছাড়লাম? এখন কাউন্সিলর হয়েও উনি মানুষের কথা চিন্তা করেন না এটা হতে পারেনা। এ ব্যাপারে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
স্থানীয়রাও এতে একমত হয়ে এ ব্যাপারে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়্যাত আইভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কারণ সকলের মতে, আইভী উন্নয়ন কাজেউর সাথে কোন কিছুর আপোষ করেন না। এটি মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন। এ উন্নয়নের ফলে গঞ্জে আলী খাল আবারো নবযৌবন ফিরে পাবে। এতে করে পরিবেশের এবং পানি নিষ্কাশনের একটি সুন্দর ব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হবে।