1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
বড় শাহজাহান গ্রেফতার হলেও ছোট শাহজাহান এখনও অধরা - সকাল নারায়ণগঞ্জ
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ওএমএস ডিলার নিয়োগে উন্মুক্ত লটারী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত  আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা  ”নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত নাসিক প্রশাসক’র ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন  লুটপাট-ছিনতাই-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজী-খুন-ধর্ষণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন   তথ্য প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতা অর্জনে ডিজিটালাইজেশন অত্যাবশ্যক। – আনন্দধাম  মানবতার মুক্তির দূত রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুকরণ, অনুসরণ একমাত্র মুক্তির পথ- আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ  ঘরের মা, মসজিদের ইমামেরও নিরাপত্তা নেই : মোমিন মেহেদী মরহুম খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন সাহেবের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান সোনারগাঁয়ে সাড়ে সাত’শ বছরের প্রাচীন গ্রন্থাগার সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন

বড় শাহজাহান গ্রেফতার হলেও ছোট শাহজাহান এখনও অধরা

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০
  • ১২৭ Time View

সকাল নারায়নগঞ্জঃ

স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)

নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে জুয়ার বোর্ডের আলোচিত দু’টি নাম ছোট শাহজাহান ও বড় শাহজাহান। পরিবহন জগতের সাথে থাকা বড় শাহজাহানের ব্যাপক পরিচিতি থাকার ফলে জুয়ার আসরেও তেমন নাম ভেসে উঠে এ শাহজাহানের। অথচ ১নং রেলষ্টেশনের অসাধু কিছু কর্মকর্তার জোগসাজসে সরকারী বিদ্যুৎ ফুটপাতের দোকানে ভাড়া দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া ছোট শাহজাহানও এখন শহর ও শহরতলীতে প্রতিটি জুয়ার বোর্ডের পার্টনার বনে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। তবে দুই জুয়ারী শাহজাহানের মধ্যে ছোট শাজাহান সবসময় থাকে লোক চক্ষুর অন্তরালে।


ব্যাপক অনুসন্ধানে ভেসে উঠে জুয়ার বোর্ডের অন্যতম মালিক ছোট শাজাহানের অজানা যত কাহিনী। সদর থানার বাসস্ট্যান্ডে মাসের পর মাস প্রকাশ্য বোর্ডে লাখ লাখ টাকার জুয়ার খেলা চলছে। শুধু তাই নয়, বোর্ডের অংশীদার বড় শাহজাহান গ্রেফতার হলেও অদৃশ্য যাদুর পরশে পুলিশের কাছে এখনও ধরা পড়েনি জুয়ার বোর্ডের অন্যতম মালিক ছোট শাজাহান। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে জুয়ার বোর্ড লেখালেখি হলে সেখানে ছোট শাহজাহানের বক্তব্য নেয়ার সময় তিনি নিজেকে তুলসি পাতায় ধোয়া বলে চালিয়ে গেলেও প্রতিদিনই উক্ত জুয়ার বোর্ডের আয় থেকে তার হিস্যা নিচ্ছেন। আবার স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রকাশকের ভাইয়ের সাথে ছোট শাজাহানের অর্থনৈতিক লেনদেন ও ব্যক্তিগত সর্ম্পক থাকার সুবাদে ছোট শাহজাহান প্রায়ই পুলিশী হয়রানী থেকে বেঁচে যাচ্ছেন এবং টাকার বিনিময়ে পুলিশ দিয়ে তার জুয়ার অন্যতম পার্টনার বড় শাহজাহানকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মামলায় পুলিশে ধরিয়ে দিচ্ছেন এমনও অভিযোগ রয়েছে বাসষ্ট্যান্ড এলাকায়। 


ইতিপুর্বে স্থানীয় বখাটে দিয়ে বড় শাহজাহানকে অপহরন, কোরবানী ঈদের প্রায় ১০ দিন পুর্বে বিস্ফোরক মামলা এবং তার সপ্তাহখানেক পরে আবার চাদাঁবাজি মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় ছোট শাহজাহান। আর এসকল অপকর্মগুলো শুধুমাত্র জুয়ার বোর্ডের একক মালিকানা নেয়ার জন্য। টাকার বিনিময়ে এমন অপকর্ম করতে পেছনে তাকাতে হয়না ছোট শাহজাহানকে। কারন তার রয়েছে অবৈধভাবে উপার্জিত বিদ্যুৎ সংযোগের টাকা এবং সেই প্রকাশকের ভাইয়ের আর্শিবাদ।


জানা যায়, ছোট শাহজাহানের পিতার নাম নান্নু মিয়া। তিনি চাঁদপুরের বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জ ১নং রেল গেইটে ফলের ব্যবসা করতেন।


ছোট শাহজাহান জুয়া থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ লাইন চুরি এছাড়াও আরও নানা রকমের অপকর্মে জড়িত। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জুয়ার বোর্ডে মাদক ও জুয়া খেলার মাললাও আছে র‍্যাব-১১ এর কাছে।


 এছাড়াও সোনারগাঁয়েও গত জুন মাসের ২০ তারিখে আরেকটি জুয়ার বোর্ড চালু করার কথা ছিলো ছোট শাহজাহানের। কিন্তু সেখানকার প্রশাসনের সাথে বনিবনা না হওয়ার ফলে জুয়ার বোর্ড চালু করতে পারেনি ছোট শাহজাহান। 


তাছাড়া ঢাকার যাত্রবাড়ি কাঁচা মালের আড়তের পেছনে থাকা জুয়ার বোর্ডেরও একাংশের মালিক এ ছোট শাহজাহান। সেখান থেকে প্রতিমাসে প্রায় লাখ টাকা লভ্যাংশ পান তিনি।


মহানগরীর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিআইডব্লিউটিএ ফ্লোটিং ওয়ার্কাস ইউনিয়ন সংলগ্ন পতিত ভূমিতে বেশ ক’বছর যাবৎ বোর্ড বসিয়ে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। সদর থানার স্ট্যান্ড এলাকার ওই বোর্ডে দিনরাত অবিরাম জুয়া খেলার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা হয়। ওই জুয়ার বোর্ডের বিরুদ্ধে বেশ ক’টি খবর প্রকাশ হয়। 


সেই প্রকাশিত সংবাদে দুই শাহজাহান নিয়েই সংবাদ প্রকাশিত হলে তার পরিপ্রেক্ষিতে বড় শাহজাহান গ্রেফতার হলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় গ্রেফতার হয়না ছোট শাহজাহান। যার ফলে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসে ? অনেকের দাবী, ছোট শাহজাহানের অবৈধ টাকার কাছে বন্দি রয়েছে থানার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তবে ইতিপুর্বে বিদ্যুৎ চুরির মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও শহর ও শহরতলীতে জুয়ার বোর্ড চালানো নিয়ে পুলিশ তাকে আটক করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড় শাহজাহান বলেন, আমরা দু’জনই পার্টনার। প্রতিবারই পুলিশের হাতে আমি আটক হই, তার কারন জানিনা। ছোট শাহজাহানকে কেউ জিজ্ঞেস করলে সে সব সময় অস্বীকার করেন যে, তিনি জুয়ার বোর্ডের কেউ না। অথচ প্রতিদিন সকালে তিনি এসে তার পাওনা টাকাগুলো নিয়ে যায়।


তিনি আরো বলেন, ঈদের পুর্বে বিস্ফোরক মামলায় ৮ দিন এবং চাঁদাবাজি মামলায় ২ দিন জেলে ছিলাম। সেই ১০দিন তো জুয়ার বোর্ড বন্ধ ছিলোনা। আমার প্রশ্ন তাহলে সে সময় কে চালালো এ জুয়ার বোর্ডটি। আইন তো সবার জন্য সমান তাহলে পুলিশ কেন ছোট শাহজাহানকে জুয়ার বোর্ড চালানোর দায়ে গ্রেফতার করেনা।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL