1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
খুনের রহস্য উদঘাটনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ - সকাল নারায়ণগঞ্জ
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
ফতুল্লায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে মোবাইল কোর্ট অভিযান, দুই প্রতিষ্ঠানে জরিমানা  ওই চরমোনাই কে বলতে চাই কোন আদম ব্যবসায়ী দলের প্রধান থাকতে পারবে না: টিপু জেলা প্রশাসক এর ৬ মাস পুর্তি উপলক্ষ্যে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত যে কারণে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা দুই মাঠের ‘বিচিত্র’ ম্যাচে সহজ জয় বাংলাদেশের না.গঞ্জে জুলাই শহীদের স্মরণে দেশের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ  উদ্বোধন  ফতুল্লা থানা জমিয়তের পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত কিশোর গ্যাং আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে: আবদুল জব্বার  ‎নারায়ণগঞ্জ বারের প্রয়াত এডভোকেট জয়ন্ত কুমার ঘোষকে উৎসর্গীকৃত কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে বই বিতরণ অনুষ্ঠান

খুনের রহস্য উদঘাটনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০
  • ৯৫ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)

রেখা আক্তার। স্বামীর অভাবের সংসারে সুখের রেখা টানতে সেলাই মেশিনে বাসায় বসে কাজ করেন। হোসিয়ারি গার্মেন্টসে স্বামী কাজ করে যা রোজগার করেন তা দিয়ে সংসার চালানো অনেক কষ্টের। দুই মেয়ে লেখাপড়া করে।

কোন ছেলে নেই তাদের। বড় মেয়ে এবার এসএসসি পাশ করেছে। ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রি। ছেলে সন্তান না থাকলেও মেয়েকে কোন কাজে দেননি তারা।


 মাঝে মাঝে অভাবের সংসারে বড় মেয়ে পড়ালেখা ছেড়ে মায়ের সাথে কাজ করতে চায়। কিন্তু রেখা আক্তার সুস্থ থাকতে সেটা করতে দিতে রাজি হননা। রাতে যখন নিস্তব্ধ শহর, তখনও রেখা সেলাই মেশিনে সুতার রেখা টেনে চলেন কাপড়ে। তবে আজকের গল্পটা অন্যরকম রোমহর্ষক। 


আদরের দুই মেয়ে জেরিন ও জিসা। ছোট্ট সংসারে অভাব থাকলেও সুখ ছিল। খুব বেশি চাওয়া নেই তাদের। করোনার কারণে গার্মেন্টস বন্ধ হলেও রেখা ঠিকই সংসার সামলেছেন দিন-রাত কাজ করে। ছোট্ট ঘরে চারটি প্রাণ নিয়ে কখনও কারো নিকট হাত পাতেননি। করোনার কারণে যে গার্মেন্টস বন্ধ ছিল তা এখন খোলা হয়েছে। স্বামী জাহাঙ্গীর কাজ করে উপার্জন করছে। এখন তাদের অভাব নেই। 


তবে ঘটনার শুরু ৪ জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যার পর থেকে। ছোট মেয়ে জিসা(১৪) কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় গিয়েছে, কার সাথে গিয়েছে কিছুই জানেনা তারা। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি এমন কারো ঘর নেই যেখানে খোঁজা হয়নি তাঁকে। কিন্তু তারা জানেনা কেউ হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় সংবাদ দিতে হয়। কেউ একজন বলেছিল থানায় জিডি করতে। খুব বেশি কর্ণপাত করেনি সে কথায়। 


অবশেষে ১৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় গিয়ে মেয়ের নিখোঁজ জিডি করেন দেওভোগ এলাকার রেখা আক্তার। তদন্তকারী অফিসার এসআই শামীম আল মামুন। 


ঘটনার ১৩ দিন পর জিডি হলেও থেমে থাকেননি তিনি। বারবার রেখা আক্তারের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ও গোপন অনুসন্ধান অব্যাহত রাখেন। জিসা কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। শুধুমাত্র রেখা আক্তারের একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করত পরিবারের সকল সদস্যরা। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে কোন ফল পাওয়া যাবে কিনা সেটাও ছিল অনিশ্চিত। তবুও এগিয়ে যান তদন্তকারী অফিসার।


তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সন্দেহ করা হয় অটো রিক্সা চালক রকিবকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আনা হয় থানায়। পাওয়া যায় ঘটনার কিছু সত্যতা।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL