1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত সাদেক হোসেন খোকা - সকাল নারায়ণগঞ্জ
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
পুলিশ ‍সুপারের সাথে ইসলামী আন্দোলনের মতবিনিময় সেলিম খন্দকার খোকার মত্যুতে নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক উন্নয়ন ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ জান্নাতুল বাকিতে ডা. রাশেদার দাফন সম্পন্ন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ-এর সাথে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃকর্মীদের সাক্ষাত ইসলামী আন্দোলন নগর সাংগঠনিক সম্পাদকের মায়ের ইন্তেকাল বাস ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী জেলার ডিবি পুলিশ কর্তৃক ২৪ কেজি গাঁজা ও একটি ট্রাক জব্দ-সহ গ্রেফতার: ৩ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিভাগীয় কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা সকালে নারায়ণশঞ্জ – এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৬ষ্ঠ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা ও কেক কাটা বাংলা‌দেশ হো‌সিয়া‌রি এসো‌সি‌য়েশন নির্বাচন ৩ ফেব্রুয়ারী

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত সাদেক হোসেন খোকা

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২১২ Time View
ছবি: সংগৃহীত
সকাল নারায়ণগঞ্জ ছবিঃ সংগৃহীত

সকাল নারায়ণগঞ্জ অনলাইন ডেস্কঃ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, অবিভক্ত সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। সাদেক হোসেন খোকা দুইবার প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী ছিলেন।

এর আগে ধূপখোলা মাঠে খোকার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অসংখ্য মানুষ জানাজায় অংশ নেন। জানাজার পর জুরাইনে নেওয়া হয় তার লাশ।

জুরাইন কবরস্থানের গেটের সামনে সাদেক হোসেন খোকাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ খোকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে বাবা-মায়ের কবরস্থানের পাশে তাকে শায়িত করা হয়।

এর আগে গোপীবাগে খোকার বাসভবনে মরদেহ রাখা হয়। সেখানে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ সময় গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু সময় আগে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে খোকার লাশ নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দেন তার স্বজনরা। সাদেক হোসেন খোকার লাশ বহনকারী ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

এয়ারপোর্ট থেকে নেতাকর্মীবেষ্টিত সাবেক মেয়রের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের চারপাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ হেঁটে, কেউ গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এগোতে থাকেন। এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন ‘খোকা ভাইয়ের স্মরণে, ভয় করি না মরণে’, ‘খোকা ভাইয়ের সংগ্রাম, চলবে অবিরাম’, ‘মুক্তিযোদ্ধা খোকা ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বেলা ১১টায় সাদেক হোসেন খোকার জানাজা সম্পন্ন হয়। সাদেক হোসেন খোকার দুই ছেলে ইশরাক হোসেন ও ইশফাক হোসেন ছাড়াও সংসদ ভবনের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেমন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আবদুল মঈন খান প্রমুখ।

পরে সাদেক হোসেন খোকার লাশ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানেও ছিল মানুষের ঢল। সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাতীয় সংসদে জানাজার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখার পর খোকার লাশ নেয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে। দুপুর ১২টা থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে জমায়েত হতে থাকেন। এক সময় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মানুষে।

জানাজায় অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। জানাজা পড়ান জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা নেসারুল হক।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে সাদেক হোসেন খোকাকে গ্রেফতার করা হয়। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলে তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান খোকা।

সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ২০০৮ সালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করে দুদক।

২০১৫ সালে দুর্নীতির মামলায় তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। সাদেক হোসেন খোকা মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের স্মৃতিচারণমূলক কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL