সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন শুক্রবার (৭ আগষ্ট) রাতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পরিদর্শক প্রদীপ ও লিয়াকতকে বরখাস্তের আদেশ এসেছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।
আর এ মামলায় আত্মসমর্পণ করা বাকি পাঁচজন- এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে বরখাস্তের আদেশ কক্সবাজার জেলা পুলিশ কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত ৩১ অগাস্ট রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এরপর বুধবার নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেয়।
ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে মামলার নয় জন আসামির মধ্যে সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এতে বিচারক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরির্দশক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ড এবং অন্য পাঁচ আসামিকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
এছাড়া অপর দুই জন আসামি আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাদের পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।তবে এ মামলার ওই দুই পলাতক আসামি এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা নামে কেউ টেকনাফ থানা ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত পুলিশ সদস্য নেই বলে এসপির ভাষ্য।
এ নিয়ে শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন জানিয়ে এসপি মাসুদ বলেন, “যে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় নিজেই তুলে ধরছেন; এ নিয়ে আমার (এসপি) বিস্তারিত বলাটা অনুচিত।”
মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকা পলাতক ওই দুই আসামি এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা নামের কোনো পুলিশ সদস্য টেকনাফ থানা ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত না থাকার পুলিশের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, “বিষয়টি নির্ভর করছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর।
এ দুই আসামি আদৌ টেকনাফ থানা ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন কিনা তা তদন্ত কর্মকর্তা খুঁজে দেখবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি কর্মরত না থেকে থাকেন অথবা এজাহারে ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়ে থাকে সেটির ব্যবস্থা নেওয়া তদন্ত কর্মকর্তার উপর বর্তায়।”