1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
ইবলিশের চেয়ে বড় বড় শয়তান দুনিয়াতে চলে এসেছে : শামীম ওসমান - সকাল নারায়ণগঞ্জ
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
তিনজনকে পিটিয়ে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে-মুফতি মাসুম বিল্লাহ খানপুর হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে পানি ও স্যালাইন বিতরণ কাউন্সিলর শকুর আপনার ভোট আপনি দিবেন যাকে খুশি তাকে দিবেন-পারভীন ওসমান  তীব্র গরমে পানি ও স্যালাইন বিতরণ কাউন্সিলর শকু’র হাসিনা অটিজমে কাজিম উদ্দিন প্রধানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল সংবাদ এর ভিওিতে অভিযানে চালিয়ে নগদ ৪৯,০০,০০লাখ জাল টাকা সহ গ্রেফতার ২ কোতালের বাগ এলাকায় সন্ত্রাসী  ইমনের চাকুর আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ১ বন্দরে ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেন নির্বাচন আসলেই দেখামিলে পাড়া মহল্লায় অতিথি পাখির আগমন-মুকুল আদালতে জাকির খানের বিরুদ্ধে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ

ইবলিশের চেয়ে বড় বড় শয়তান দুনিয়াতে চলে এসেছে : শামীম ওসমান

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০
  • ৫২ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, আমরা দেখছি শিক্ষিত শিক্ষিত লোকগুলি চুরি করছে। বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে ইবলিশ শয়তানও বলতেছে আমাদের এখানে দরকার নাই। ইবলিশও বলতেছে, ‘আমার এখানে দরকার নাই। আমার চেয়ে অনেক বড় বড় শয়তান দুনিয়াতে চলে এসেছে।’ অনিয়ম এখন নিয়ম হয়ে যাচ্ছে। আমার জেলার অত্যান্ত সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ভাল মানুষ আমি ওনাকে পছন্দ করি। আমাদের এসপি সাহেব অত্যন্ত ভাল মানুষ এবং সৎ লোক। দুজনে সৎ লোক। আমাদের একটা জায়গায় আসতে হবে। রাজনীতি করার জন্য আসছি। সত্য কথা বলতে আসছি কিছু পাওয়ার জন্য না। আমি যখন দেখি রাস্তার পাড়ে ময়লা উপচে পড়ে। আমি যখন দেখি চাষাঢ়ার মোড়ে গাড়িতে আটকে থাকি এবং যে কটা গাড়ি চলতেছে একটারও এখানকার রুট পারমিট নাই। তো যে টাকা দিয়ে রুট পারমিট নিয়েছে সেও গাড়ি চালাচ্ছে আর যার রুট পারমিট নাই সেও গাড়ি চালাচ্ছে।

২৬ জুলাই রোববার দুপুরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে নিজস্ব কার্যালয়ে খেলোয়াড়দের মাঝে অনুদান প্রদানের পূর্বে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, এহসান পরিবার আমার স্ত্রীকে জানিয়েছে যে একটা ফুটবল প্লেয়ার আজকে জুগালি খাটছে। জুগালি খাটলে কোন লজ্জা নাই। আমি যখন ২০০১ সালে দেশ ছাড়ছি আমেরিকায় ছিলাম তখন আমি কিন্তু বাথরুম পরিষ্কার করছি। পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল দিয়েছি। মানুষের গাছ পরিষ্কার করে দিয়েছি। কৃষি কাজ করেছি। কত কষ্ট করেছি পিঠের চামড়া পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ইটস এ্যা পার্টফ অফ লাইফ। আর স্পোর্টস ম্যানরা তো ভয় পাবেই না। ভয় পাইছেন তো মরছেন। আজকে স্পোর্টস ম্যান দেরকে ছয়, সাত হাজার, আট হাজার টাকার অনুদান ইটস নট এ্যা বিগ ডিল। বাট খেলাটা ছেড়ে দিওনা এটা ধরে রেখ।

তিনি আরো বলেন, আজকে মানুষ একটু অসহায় হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা শহর থেকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে। তাদের বলতে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে যে তারা বাজার করতে পারছেনা। ছেলের ইনকাম নাই, মেয়ের ইনকাম নাই। বাড়ি ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে গ্রামের বাড়িতে বাবা মায়ের কাছে। আমি শুধু তাকে বললাম ভয় পেয় না, এমন দিন আমারও গেছে। আমার বাবা যখন জেলে ছিলেন আমরাও তখন ৬ বছর না খেয়ে কাটিয়েছি। এক বেলা ভাত খেয়েছি এক বেলা খাইনি। ৯শ টাকার জন্য পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করতে পারিনি। এটা হচ্ছে আল্লাহর শিক্ষা।

তিনি বলেন, একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে খেলা চলতেছে প্রচন্ড ষড়যন্ত্র চলতেছে। হরতাল করার ষড়যন্ত্র, দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র কিন্তু দেশের মাটিতে হচ্ছেনা দেশের বাইরে ব্রিটিশ থেকে হচ্ছে। ঈদের পরে আমরা নারায়ণগঞ্জকে ঠিক করবো। যেখানে অন্যায় দুর্নীতি দেখবেন সেখানে লেখবেন। আমার বিরুদ্ধে দেখলে আমার বিরুদ্ধে লিখবেন। প্রটেকশন দেয়া লাগবে আমি দিব। বাট লিগেল লিখতে হবে হলুদ সাংবাদিকতা করা যাবেনা। পয়সা খাওয়া সাংবাদিক হওয়া যাবেনা ধান্দাবাজ সাংবাদিক হওয়া যাবেনা। আমি আশা করছি আগামী মাসে আপনাদেরকে বেশ কটি খুশির খবর একসাথে দিতে পারবো। স্বপ্নের নারায়ণগঞ্জ হবে। এবং ঢাকার চেয়ে সুন্দর একটি নারায়ণগঞ্জের স্বপ্ন দেখছি আমি। আমরা বোধহয় সেই স্বপ্নের দরজার সামনে চলে এসেছি। কাজগুলো হয়ে গেলে নারায়ণগঞ্জ আবারো প্রাচ্যের ডান্ডি হবে।

জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রুপায়নের পরে সরকারি জায়গা খাস জায়গা। আমি আসার সময় দেখলাম সেখানে ভরাট হচ্ছে এবং ঘর তুলছে। প্রথমে ঘর তুলবে তারপর আপনার গিয়ে ভাঙবেন। ঘর তোলার আগে ভাঙলেননা কেন। আমি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়ে ঘরে, বাইরে, নেতৃত্বের সামনে পার্লামেন্টে ন্যার্য্য কথা বলবো। চোরকে চোর বলবো এবং ওকে ছাড়বোনা। কারণ আমাদের জীবন এই ১৪ বছরের কৈশর ছিল অভিশপ্ত। কেন অভিশপ্ত ছিল। অভাগা কৈশর ছিল। কারণ আমাদের বয়স যখন ঠিক ১৪ বা সাড়ে ১৪ বছর ঠিক তখনই জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। আমাদেরতো পলিট্রিক্স করার দরকার ছিলনা। যদি বঙ্গবন্ধুকে সাড়ে ৩ বছরে না মারতো তবে বাংলাদেশ ৩০ বছর আগে জাপানের মত উন্নত দেশ থাকতো। আমরা কি করলাম কিছু বুঝলামননা। একটা প্রজন্ম বললাম, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই। আমাদের আগের প্রজন্ম আমাদের বাপ দাদারা দেশের জন্য করলেন স্বাধীনতার। উনারা সাকছেসফুল। কিন্তু আমরা কিশোর থেকে যৌবনে চলে গেলাম। কখন চলে গেলাম জানলামনা। মার খেলাম পিট্টি খেলাম জেল খাটলাম। বছরের পর বছর ঘরের বাইরে থাকলাম। মসজিদের ভিতর জীবন কাটাইছি জীবনের অর্ধেক সময়।

ইয়াং জেনারেশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা অভাগা জাতি। আমাদের পরিপূর্ণতা এসেছে কখন। যখন ৯৬ তে ইন্ডিমিনিটি এ্যাকট বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিপূর্ণতা এসেছে যখন দেশটা স্বাধীন হয়েছে তখন। সো ইউ আর এ্যা সোলজার। আপনার এখন যোদ্ধা। এই প্রজন্ম হোক জার্নালিস্ট, হোক খেলোয়াড়, হোক বিএনপি হোক আওয়ামীলীগ। যারা রাস্তায় দাড়িয়ে কাগজ চেক করতে পারে বøু বুক চেক করতে পারে তারা আড়াই বছর আগে ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল করে দেখাইছেনা। সো ইউ নো বেটার দেন আজ। এই যোদ্ধাকে প্রস্তুত হতে হবে । আমরা যারা অভাগা হয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে। কারণ ইউরোপ আমেরিকার বাচ্চাদের মত সুখের জীবন শান্তির জীবন কাটানোর কথা ছিল যেটা আমরা পাই নাই। কেন একটা জাতিকে লিড করতে হলে একটা নেতা লাগে। আজকে তার মেয়ে (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনাকে জাতির পিতার পর তাকে সেই স্বপ্নটা পূরণ করতে হচ্ছে। ডোন্ট সাপোর্ট আওয়ামীলীগ ডোন্ট সাপোর্ট শামীম ওসমান। বাট সাপোর্ট হার। কারণ তিনি আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য চেস্টা করছেন। তার কিন্তু বাপ মা ভাই কেউ নাই। বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলা হয়েছিল এই কারণে তিনি জাতিসংঘে গিয়ে বক্তব্যে বলেছিল জাতি আজ দুভাগে বিভক্ত। শোষক ও শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।

তিনি আরো বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জটাকে ঠিক করতে চাই। আমি জেলা প্রশাসক ও এসপি সাহেবকে বলেছি বাদ দেন অন্য জায়গা আমরা আমাদের এলাকা ধরবো। উই নিড ইউর সাপোর্ট। আমাকে সাপোর্ট কইরেননা। আমার বিপক্ষে লেখেন আমার কোন আপত্তি নাই। বাট চলে এগুলা ঠিক করি। আমি ঈদের পর আপনাদের নিয়ে বসবো। নারায়ণগঞ্জে কাজ হতে যাচ্ছে আমি এখন বলবো না কারণ প্রজেক্টে অনেকে ভাঙ্গানি দেয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেখবেন আল্লাহ যদি হায়াত রাখে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে দেখবেন নারায়ণগঞ্জ কোন জায়গায় এসে দাঁড়ায়। কত সুন্দর একটা এলাকা নারায়ণগঞ্জ হয়। ঈদের পর থেকে শুরু করে টেন্ডার তারপর আমার দুটো কাজ বাকি থাকবে। আমি আশা করি এই দুটো কাজও করতে পারবো। পরিপূর্ণ নারায়ণগঞ্জ হবে নারায়ণগঞ্জের বাচ্চারা ফেসালিটিস পাবে।

তিনি বলেন, কেমন যেন একটা সময় আসলো আমরা সবাই সবাইকে ভয় পাই। এইযে একজন আরেকজনের সামনে যেতে ভয়ভীতি, এই চিন্তা যে কার কাছে কি আছে। এই দুনিয়াতে আসছি শিক্ষা নেয়ার জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও আমরা শিক্ষা পাচ্ছিনা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীন আহমেদ টিটু, সহ সভাপতি ইব্রাহিম চেঙ্গিস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মোট ৭০ জন খেলোয়াড়কে ৭ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL