সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭,৮,৯ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনার সহযোগিতায় ৭ম পুত্র সন্তানের জম্ম হয়েছে। মা ও বাচ্চা সুস্হ আছে বলে জানিয়েছেন এই সময়ের “মানবতাম মা” উপাধি পাওয়া জনপ্রিয় এই নারী প্রতিনিধি।
বুধবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় নাসিকের এই কাউন্সিলর তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্ট্যাটাসটি সকাল নারায়ণগঞ্জ পরিবারের মাঝে হুবুহু তুলে ধরা হলো: আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহপাক এর অশেষ মেহেরবানিতে আজ সপ্তম পর্যায়ে আমার সার্বিক তত্বাবধানে ডন চেম্বার ” আল মক্কা” হাসপাতালে জন্ম নিলো আরো একটি পুত্র সন্তান। দুপুর একটায় তাতখানা বৌ বাজার এলাকা থেকে ভাতিজা ইমন ফোন দিয়ে জানালো এক বোনের প্রসব ব্যাথা শুরু হয়েছে কিন্তু করোনায় তারা আর্থিক ভাবে সংকটময় অবস্হায় আছে।
আমি সাথে সাথে তাদের ডন চেম্বার” আল- মক্কা” হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি এবং আমি সাথে সাথে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তার রোগীকে দেখে বলে যেহেতু এটি তার দ্বিতীয় সন্তান জন্ম হবে এবং প্রথম সন্তান সিজারে হয়েছে তাই আমাদেরকে সিজারে যেতে হবে কিন্তু রোগীর শরীরে রক্ত দিতে হবে।আমি সাথে সাথে স্নেহের ছোট ভাই জালকুড়িয়ান ব্লাড ডোনার্স এর সভাপতি অপুকে ফোন দেই,,,,, এবং রোগীর রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ জানিয়ে দেই। সাথে সাথেই অপু জালকুড়িয়ান ব্লাড ডোনার্স এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসানকে ও জালকুড়িয়ান ব্লাড ডোনার্স এর মেম্বার সোহাগ কে পাঠিয়ে দিলো এবং সোহাগ রোগীকে রক্ত দিলো।এর কিছুক্ষণ পর সিজারের মাধ্যমে জন্ম নিলো ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান।
এই নিয়ে আমার সপ্তম পর্যায়ে ডেলিভারিতে সহায়তার কার্যক্রম মজার বিষয় হলো সাতটায়ই পুত্র সন্তান হয়েছে।।। আল্লাহপাকের রহমতে মা ও শিশু দুজনেই সুস্হ আছে। অনেকেই দেখলাম হিংসাত্মক হয়ে ফেসবুকে আমাকে নিয়ে লিখেছেন আমি নাকি হাসপাতালের মালিকদের সাথে যোগসাজশে কোন বাচ্চার ডেলিভারী হলে সেখানে গিয়ে ফটোসেশান করে নিজের নামে চালিয়ে দেই।দয়া করে এই মহামারীতে এই নোংরামি করবেননা।আল্লাহ কে ভয় করেন।আমি কখন কোন হাসপাতালে ডেলিভারী করিয়েছি তা স্পষ্ট আমার স্ট্যাটাসে লিখে দিয়েছি বেশি এলার্জি থাকলে ঐ হাসপাতালে গিয়ে খোজ নিয়ে তারপর মন্তব্য করুন।
এভাবে মিথ্যা সমালোচনা করে নিজেকে আর নিচে নামাবেন না।পারলে আপনিও একজন অসহায় গর্ভবতী নারীকে সহযোগীতা করুন।এই মহামারি তে সবচেয়ে অসহায় অবস্হায় আছে স্বচ্ছল বা অস্বচ্ছল গর্ভবতী বোনেরা।কারন গর্ভাবস্থায় একজন নারী বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন এবং তাকে অনেক সেনসেটিভ ভাবে থাকতে হয়।কোন অসুস্হতায় আক্রান্ত হলে চাইলেও যে কোন ঔষধ খেতে পারবেনা।আর এই মহামারী তে আল্লাহ না করুক কোন গর্ভবতী বোন যদি করেনায় আক্রান্ত হয় তাহলে সন্তান বাচানো সম্ভব না।
তাই আপনি আমি আমরা সকলেই আসুন আমাদের আশেপাশের গর্ভবতী মায়েদের প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেই। কৃতজ্ঞতা ডন চেম্বারস্হ আল-মক্কা হাসপাতালের মালিক, ডাক্তার, নার্স সহ সকল স্টাফদের।আরোও কৃতজ্ঞতা জালকুড়িয়ান ব্লাড ডোনার্স সংগঠন কে বিশেষ বিশেষ কৃতজ্ঞতা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসার আশা বাবা কে সবসময় আমার এই কাজে পাশে থাকার জন্য, আমাকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য।ধন্যবাদ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি আপাকে সর্বক্ষন পাশে থাকার জন্য।সবশেষে এইটুকুই বলবো হেরে যাবে ওদের হিংসা জিতে যাবে আমাদের মানবতা।