সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
আড়াইহাজারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজের ভাগিনা ঔষধ ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল (৪২) এর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে মারাত্মকভাবে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১জুলাই) বুধবার সকালে উপজেলা উচিৎপুরা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত আব্দুল আউয়াল খাগকান্দা এলাকার সাদেকুর রহমানের ছেলে। আহত আব্দুল আউয়ালের ভাই আহসানউল্লাহ জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট ইকবাল পারভেজ আমাদের আপন মামা হন।
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার মামা এডভোকেট ইকবাল পারভেজ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আড়াইহাজার থেকে আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়ে আবেদন করেন। ঐ সময় মামার পক্ষে আমাদের ঢাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যেতে হয় এবং মামা এলাকায় গণসংযোগ কালে তার পাশে থাকতে হয়েছে। নির্বাচনে মামা দলীয় নমিনেশন না পেলে আমরা আমাদের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।
নির্বাচনের পর থেকে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি জাঙ্গালিয়া বুরুমদীপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোশারফ হোসেন(৩২),মৃত চেরাগ আলীর ছেলে শরীফ(২৮) ও খানপাড়া এলাকার মৃত রমি খানের ছেলে শহিদুল ইসলাম খান তার ভাই ঔষধ ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়ালকে তার মামা এডভোকেট ইকবাল পারভেজ এর পক্ষে কাজ করায় বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে আসছিল এবং তাকে বিভিন্ন নেতার সাথে দেখা করার জন্য বলে। অন্যথায় তাকে এলাকায় থাকতে দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়।
১ জুলাই বুধবার সকাল ৮টার দিকে আব্দুল আউয়াল বাড়ি থেকে জাঙ্গালিয়া বাজারে ঔষধের দোকানে যাওয়ার সময় বাজারে তার উপর কলের মাইরের কাঠ, রড় নিয়ে মোশারফ হোসেন,শরীফ ও শহিদুল ইসলাম খান সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার মাথা, দুই হাত, দুই পা থেতলে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম করে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার মাথা ,হাত-পায়ে অর্ধশতাকি সেলাই করতে হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি বলে তার ভাই আহসানউল্লাহ জানান। এ ব্যাপারে মোশারফ, হোসেন,শরীফ ও শহিদুল ইসলাম খান এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব ইকবাল পারভেজ জানান, আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগের একটি গ্রুপ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।
আড়াইহাজার থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি বলে জানান।