সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
প্রবল বর্ষণ থেকে নাসিক ১২নং ওয়ার্ডকে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য পুনঃ খাল খনন করার জন্য প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় কাউন্সিলরের নিদের্শনা অনুযায়ী খাল ঘিরে বেশি ভাগ দোকানপাট নিজেদের উদ্যোগে সরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু কয়েক মার্কেট এখনো সরিয়ে না কারণে রোববার সকালে পুনঃ খাল খননে কিছু সমস্যা আশংকা করেছেন কাউন্সিলর শওকত হাসেম।
সরিজমিনে দেখা গেছে, নাসিক ১১নং ওয়ার্ডের তল্লা বড় মসজিদ এলাকার এক প্রভাবশালী ও তার ভাগিনাদের দখলে থাকা ১১টি দোকান এখনো সরিয়ে নেয়নি। তাদের সরিয়ে নেয়ার কোন ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু দোকানীরা জানান, মালিক পক্ষ যদি আমাদের সরিয়ে যেতে বললে আমরা চলে যাবো।
মে-জুন মাসে টানা বর্ষণে কারণে শহর সহ নাসিক ১২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এর কারণে অনেক জনসাধারণ চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। এর চেয়ে জলাবদ্ধতা শিকার হয়েছে উত্তর চাষাড়া জলাবদ্ধতা কারণ সন্ধানে কাউন্সিলর শওকতের বিশেষ টিম পর্যবেক্ষণে চাঁনমারী মাঊরাপট্টি অবৈধ মার্কেট ও অসংখ্য জুটের গোডাউন থাকার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়।
এদিকে চাষাঢ়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন কামরান জানান, কারো দখলের দোকানপাটের জন্য আমরা ১২নং ওয়ার্ডবাসী কেনো জলাবদ্ধতায় থাকবো। জলাবদ্ধতা নিরসনে এ খালটি পুনঃ খনন অনেক জরুরি। এটি পুরোই দখল করে রেখেছে কতিপয় লোকেরা। আমরা ছোট বেলায় দেখতাম এই খালে রীতিমত স্রোত খেলা করতো। সেই খাল আজ ভরাট করে দখল করে রাখায় জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর দূর্ভোগ হয়। যেহেতু সকলেই এবং স্থানীয় কাউন্সিলর চাচ্ছেন এটি খনন করা হোক তাই আমরাও এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করি যেন দ্রæত দখলমুক্ত করে খালটি খনন করা হয়।