সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর মাসিক সভায় গরুর হাট বিষয়ে আলোচনা হয় এ আলোচনার সময় ১৬নং এবং ১৭নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া এলাকায় গরুর হাট বসানোর প্রস্তাব রাখেন । এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়। তারা দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় ময়লার গন্ধে এবং মশার উৎপাতে ও বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানি জমাট বেঁধে ঘরে পানি ভরে যায় এমত অবস্থায় আরেক বিপদ চায়না এলাকাবাসী। যে এইএলাকায় গরুর হাট দেওয়া হোক ।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে আলী আহমেদ চুনকা নগর পাঠাগারে এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,এখানে ময়লা ফেলার বিষয় নিয়ে অনেকবার আমরা কাউন্সিলার কে জানাই। এমনকি ময়লা থেকে যে পরিমাণ মশা হয় বিকাল হলে আমরা এলাকায় থাকতে পারিনা ।এমনকি বাসায় আমরা মুশুরি টানিয়ে দিনের বেলা থাকতে হয়। কিছুদিন আগের বৃষ্টিতে এখানে ঘরে ঘরে পানি জমে যাওয়ায় আমাদের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু তিনি নিজে এসে এইখানে বেকু দিয়ে কিছু ময়লা সরিয়ে ড্রেন করে পানি যাওয়ার রাস্তা করে দেন।
আর এখানে যদি গরুর হাট দেয় এটা কি করে সম্ভব কারণ আমরা তো এমনি ময়লার গন্ধে ও মুসার যন্ত্রণায় আছি । এমত অবস্থায় গরুর হাট দিলে গরুর পায়খানা আবর্জনা থেকে আরো গন্ধ ছড়িয়ে যাবে। আমাদের তো এখানে থাকার মত কোন পরিবেশ থাকবে না । আর আমরা চাই যে এই ময়লাগুলো এখান থেকে অতি শীগ্রই সরিয়ে ফেলা হোক ও ড্রেনের ব্যবস্থা করা হোক। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ।
আমাদের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু এর কাছে ও মেয়র মহোদয়ের কাছে আমাদের জোর দাবি। যে এখান থেকে ময়লা সরানো হোক এবং এখানে কোন হাট যাতে না দেয় মেয়র মহোদয় । এমনি আমাদের পরিবেশ খুব খারাপ অবস্থায় আছে এর মধ্যে গরুর হাট দিলে আরো খারাপ অবস্থায় পরব আমরা তাই আমরা এখানে কোন হাট চাইনা।
মানবতার ফেরিওয়ালা ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন কোভির ১৯ মহামারী যে রূপ ধারণ করেছে এতে প্রথম আমাদের ১৭ নং ওয়ার্ডে এ মহামারী করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে আল্লাহর রহমতে আমরাদের এলাকায় সকলের সুস্থ আছেন। এই গরুর হাট যদি এইখানে স্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অনেক অভিযোগ আছে। কিছুদিন আগে আমি নিজে ওই ময়লা কিছুটা পরিষ্কার করে পানি যাওয়ার রাস্তা করে দিয়েছি।
শুধু তাই নয় এলাকার বাসি আমার কাছে অনেক দিন যাবত এই ময়লা পরিষ্কার এবং বৃষ্টির পানি যাতে আবার জলাবদ্ধ না হয়। তাই তারা আমার কাছে এইখানে ময়লা পরিষ্কারের জন্য বারবার অভিযোগ করে যাচ্ছেন ।এর মধ্যে ১৬ এবং ১৭ পাশাপাশি এই জায়গায় গরুর হাট দিতে চাচ্ছেন এ বিষয়ে আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কারণ মানুষের দূরত্ব বজায় রাখাটা সবচেয়ে বড় ব্যাপার। গরুর হাট টি এখানে দিলে আবার নতুন করে মহামারী করোনা ভাইরাসে আবার মানুষগুলো আক্রান্ত হতে পারে।
আবার এই ভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করবে এবং ময়লা ভাগাড়ের কারণে এলাকাটি এমনি বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে যায়। কারণ সমস্ত পাইকপাড়া ১৭নং ওয়ার্ডের পানি এই এলাকা দিয়ে যেত। কিন্তু এখন এই ময়লার ভাগাড়ে কারণে এলাকায় বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানি নামতে পারে না বাড়ি ঘর ডুবে যায় ।এর পাশাপাশি আবার ডেঙ্গু মশার উৎপক্ত এরমধ্যে যদি গরুর হাট টা হয়। তাহলে আমার মনে হয় আমার এলাকাবাসী এই মহামারী করোণা ভাইরাস থেকে বাঁচার কোন সম্ভাবনা নেই। আমি মাননীয় মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই খানে যেন কোন ভাবেই গরুর হাটটি দেওয়া না হয়।
তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয়টা হলো উন্নয়ন করতে গেলে একটু ব্যাঘাত ঘটবে ।একটু সমস্যা হবে ।কিন্তু উন্নয়ন হয়ে গেলে তখন আর সমস্যা থাকবে না ।রাস্তাঘাট যে অবস্থায় থাকুক রাস্তাঘাট যখন করতে গেলে একটু মানুষের অসুবিধা হবে । সাময়িক সমস্যা জন্য সারা জীবনের সমস্যা থেকে আপনি চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন। এ জন্য আমি এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ করছি উন্নয়ন হচ্ছে উন্নয়নের কার্যক্রম চলছে ও টেন্ডার হয়ে গেছে ।
এখন ভাইরাসের কারণে কোন ল্যাবার কাজ করতে চাইতেছে না। তাই কনটেকদার ও কাজ করতে পারছে না। যে কারণে আজকে কাজগুলো অনেকটাই বন্ধ প্রায়। আমরা শীঘ্রই চেষ্টা করব এ কাজগুলো শুরু করার জন্য । শীঘ্রই এ কাজগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আশাকরি এলাকাবাসীর এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।