সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
চিহ্নিত প্রতারক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার কথিত সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতা পরিচয়দানকারী গ্লোব মোহাম্মদ আলী ৫৫ কে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার( ৯ জুন) রাত ৮টার সময় দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকার বাজার সংলগ্নে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে তাকে দীর্ঘ ছয় মাস পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই খায়রুল ও এস আই শফিউলের নেতৃত্ব গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে গ্লোব মোহাম্মদ আলীকে আটক করা হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্লোব মোহাম্মদ আলীকে বুধবার ১০জুন পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে উক্ত আসামীকে আদালতে প্রেরন করেন।গত ১৩ মার্চ বাদী সোয়েব ফকির (৪৫) মহামান্য সুপ্রীম কোট এর হাইকোট ডিভিশনে রিট পিটিশন দাখিল করলে মাননীয় বিচারপতি এনায়েত্বর রহিম এর দৈত বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করিলে অত্র মামলা রুজু হয় যার নং (২৪-৩-২০২০) স্বাঃ( ১৬৫৬-৩-১)।
বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন আমি এবং বন্ধু, নূরু সিকদার আসামীর ফেইজবুক আইডিতে আমাদের ৩জনের ছবি সহকারে বিশদগার তথ্য বিবর্জিত মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ ফেইজবুকে বাইরাল করিয়া সামাজিক ভাবে হেওপ্রতিপন্ন করে।এবং আমাদেরকে ভূমিদস্যু প্রতারণা আত্মসাৎ কারী বলে মিথ্যা কাল্পনিক গাল গপ্ল সাজিয়ে অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে গ্লোব মোঃ আলী। যা বাদীর ব্যাবসায়িক এবং সামাজিক সুনাম নষ্ট করে।
এবং একজন ব্যাবসায়ীকে ভূমি দশ্যু এবং সন্ত্রাসী বানানোর মিথ্যা অপচেষ্টা লিপ্ত তারা। যার পেক্ষিতে ৭জনের নাম উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। আসামী গ্লোব মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান, সানি হোসেন,সরদার সম্রাট শেক, হেলাল উদ্দিন, মামুন,রুস্তম আলী। নাগবারী মাদ্রাসা রোড বেপারী পাড়ায় বিভিন্ন সমাজের সচেতন মহলের সাথে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক আলাপ কালে জানা যায় মোঃ আলী এক সময় মশার গ্লোব তৈরি করত।তাকে মূলত গ্লোব মোহাম্মদ আলী হিসেবে সবাই চেনেন।
তারা কবে সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মী হলেন তা আমাদের জানা নেই। এবং তার তেমন কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তার স্ত্রী রয়েছেন একাধিক জনের মধ্য দেওভোগ হারবাঙ্গা বাড়ির পেছনে আরেকজন দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকায়। আনিছ মূলত তার ছেলে আর সানি তার ২য় স্ত্রীর আগের স্বামীর ঘরের সন্তান।
তার ছেলের মূলত কোনো শিক্ষাগত সনদ আছে কিনা আমার জানা নেই। এখন শুনিসবাই কথিত সাংবাদিক আর মানবাধিকার এর আইডি কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের কাছে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাষনের। আর না হয় প্রগতিশীল ও পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য বিশাল দুর্নাম ভয়ে আনবে সমাজে।
মামলার তদন্তকারী এসআই খায়রুলের জানান আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে অচিরে বাকি আসামীদের আটক করা হবে।