1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
বরিশালে মসজিদের ইমামকে জুতার মালা পরানো চেয়ারম্যান গ্রেফতার - সকাল নারায়ণগঞ্জ
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
না:গঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত না:গঞ্জ জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠি জমি দখল নিয়ে ছাত্র জনতার মানববন্ধনে নীট কনসার্ন গ্রুপের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ  পুলিশের উপস্থিতিতেও যেন কমছে না চাষাড়া শহীদ মিনারে মারামারি আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৪-২৫ এর শুভ উদ্বোধন” টিআরসি পদে নিয়োগের Physical Endurance Test (PET) এর ৩য় দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ফতুল্লায় যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১ ফতুল্লায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ১জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১ দেশের জনগণ চায় আগে সংস্কার পরে নির্বাচন

বরিশালে মসজিদের ইমামকে জুতার মালা পরানো চেয়ারম্যান গ্রেফতার

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ৯৫ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানোর অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়িসহ ঐ এলাকার মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার( ০৫ জুন) ভুক্তভোগী ইমামের দায়ের করা অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ মেম্বারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে বজলু রহমান আকন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার(০৩ জুন) উপবৃত্তিরটাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানোর নির্দেশ দেয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি। সেইসঙ্গে ওই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিন রাতেই ভুক্তভোগী ইমাম ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এর পরই বজলু রহমান আকন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লাঞ্ছনার শিকার ওই ইমামের নাম শহিদুল ইসলাম।

তিনি মধ্য দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং স্টিমারঘাটের অদূরে সিকদার বাড়ি মসজিদের ইমাম। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ির নির্দেশে তার কার্যালয়ে সালিশ বসানো হয়।

এ সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) শহিদুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) মো. ফিরোজ, বজলু আকন, আবুল বয়াতী, মো. কামরুজ্জমান, রিন্টু দেওয়ানসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, ২০১৯ সালে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইল হিসাব নম্বর পাঠানো হয়। তালিকা পাঠানোর সময় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী মাদ্রাসায় না আসায় সেখানে শহিদুল ইসলাম তার মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন।

সম্প্রতি ওই ছাত্রীর এক বছরের উপবৃত্তির ১ হাজার ৮০০ টাকা ওই মোবাইল নম্বরে জমা হয়। বিষয়টি শহিদুল ইসলাম ওই ছাত্রীর অভিভাবককে জানাতে ভুলে যান। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর বাবা ৩০ মে মাদ্রাসায় এসে শহিদুল ইসলামকে মারধর করেন এবং তার মোবাইলের সিমটি নিয়ে যান। পরে বিষয়টি দড়িচড় খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি জানতে পেরে সালিশের নির্দেশ দেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত হলে শহিদুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়। এরপর জুতার মালা পরিয়ে স্টিমারঘাট বাজারে ঘোরানো হয়।

দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আনিসুর রহমান বলেন, শুনেছি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ির নির্দেশে শহিদুল ইসলামকে জুতার মালা পরিয়ে স্টিমারঘাট বাজারে ঘোরানো হয়েছে। এটা উচিত হয়নি। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন। ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বর না থাকায় উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য তার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উপবৃত্তির টাকা যে সিমে এসেছে, সেই সিমটি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল।

আর অফিসে নানা কাজের চাপে বিষয়টি মনেও ছিল না। কিন্তু এত ছোট একটি বিষয় নিয়ে এত কিছু হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। দীর্ঘ কর্মজীবনে কেউ কোনোদিন অভিযোগ করতে পারেনি। কিন্তু সামান্য একটি ভুলের জন্য যে অবিচার আমার ওপর করা হয়েছে তাদের বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিলাম।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পীযুষ চন্দ্র দে বলেন, ‘রাতে ঘটনাটি জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রতক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট দিতে বলেছি।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার দাস বলেন, উপবৃত্তির টাকা নিয়ে যাই হোক, তার বিচারের এখতিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেই। যা ঘটেছে তা লজ্জাজনক।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি জানান, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুই ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া তিনি একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পনিতে চাকরি করেন। কয়েকগুণ টাকা মুনাফা দেওয়ার কথা বলে লোকজনদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সালিশ বৈঠক করেছেন। সালিশ বৈঠকে তাকে ওই সব টাকা ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। তিনি অপারগতা প্রকাশ করে নিজেই জুতার মালা পরেছেন।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL