সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকরা আজ বঞ্চিত সাংবাদিকদের এই দূর সময় আজ কেই নেই তাদের পাশে কিন্তু একটি অনুষ্ঠান হলে কিংবা একটি তথ্য সংগ্রহ করার জন্য অনেক সাংবাদিক মাঠে ঘাটে বিভিন্ন সময় তারা নিজ দায়িত্বে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সে তথ্য অনুযায়ী নিউজ এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে সচেতন করেন।
আজ দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস দুর্যোগকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জ যখন সর্ব শ্রেণীর মানুষ লকডাউনে বসে আছে সে সময় মাঠে ছুটে বেরিয়েছে মাঠ পর্যায়ের সকল সাংবাদিক বিন্দ কিন্তু তারা আজ কেন বঞ্চিত দেখা যাচ্ছে অনেক কিছুই সাংবাদিকদের দেওয়ার জন্য এসেছে যা মাঠে ছুটে চলা সাংবাদিকরা পাইনি।
এ সময় মন্ত্রী,এমপি, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেম্বর, সহ রাজনীতির অনেক নেতাকর্মীরা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
কিন্তু তারা যখন রাজনৈতিক কোন অনুষ্ঠান করলে সে অনুষ্ঠানে মাইকের দোকান থেকে কিছু মাইক দোকানের কর্মী কাজ করে তারা ও আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের খোঁজ নেওয়ার মতো রাজনৈতিক কোনো নেতাদের মনে পড়েনি। যখন একটি অনুষ্ঠানে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা বক্তব্য চলে সেই সময় খেটে খাওয়া মাইকের দোকানের সে কর্মচারী অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত একটি চেয়ারে বসে থাকে কিন্তু আজ এই ক্লান্তিময় দুর্যোগকালীন সময়ে তারা ঘরে বসে আছে তাদের নেই কোন সহযোগিতার মানুষ।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মাইকের দোকানের কর্মচারী বলেন, আজ আমাদের খোঁজ নেওয়ার মতো রাজনৈতিক কোনো নেতা নেই। আজ আমরা না খেয়েও বসে আছি কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মিছিল নিয়ে আসা মানুষগুলো যখন চলে যায় সেই সময় পর্যন্ত আমরা বসে থেকে মাইক পরিচালনা করি এমনকি মাইক প্রবলেম হলে আমরা বকা ও শুনি। আমরা কি করে চলবো এখন আমরাতো সাধারণ কর্মচারী আমাদের দুঃখ দেখার মত কোন রাজনীতি মানুষের সময় নেই তারা একবারও ভাবে না আমাদের কথা। তাই সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমার দুঃখ প্রকাশ করলাম সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
এ বিষয়ে কিছু কিছু সাংবাদিকের সাথে কথা বলে জানাযায়, আমরা যারা প্রতিদিন নিয়মিত মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। যারা এই সময় প্রতিটি এলাকা খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং রাজনীতিবিদ নেতাদের ভালো-মন্দ লিখছি ও জন দুর্ভোগ ধরে তুলছি তারাই আজ বঞ্চিত। যখন জনগণের সমস্যা হয় সেই সময় পুলিশ অথবা সাংবাদিকদের কাছে আশা নিয়ে আসে মানুষরা কিন্তু আজ এ মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকরা কার কাছে যাবে।
কার কাছে তাদের মনে কথাগুলো বলবে, আজ সবাই মোবাইল বিজি করে রাখেন না হয় বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু সাংবাদিকদের যখন প্রয়োজন হয় তখন তারা সাংবাদিকদের সাংবাদিক সম্মেলন করার জন্য আমন্ত্রিত করেন।ভাইরাসের কারণে এ লক ডাউন বেশিদিন থাকবে না আল্লাহ তাআলা অতি শীগ্রই এই ভাইরাস থেকে দেশকে মুক্ত করে দিবেন। আমাদের হক যারা মেরে খাচ্ছেন তাদের বিচারের ভার আল্লাহর উপর দিলাম। মাঠ পর্যায়ের কর্মরত সাংবাদিকদের বিষয়টি সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ভেবে দেখবেন বলে দাবী মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের।
উল্লেখিত যে, সাংবাদিকদের জন্য সেলিম ওসমানের বরাদ্ধকৃত ৩০ লাখ টাকা কিন্তু হতে কোন টাকা পেলেন না জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করা মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকরা। এর আগে মডেল ডি গ্রুপের বরাদ্ধকৃত ১০ লাখ টাকা হতে ৫ লাখ টাকা ২ টি ক্লাব ভাগাভাগি করে নেয়। মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকরা সেখান থেকেও বঞ্চিত হয়। এবার সেলিম ওসমানের বরাদ্ধকৃত ১০ লাখ টাকা হতে ও বঞ্চিত হলো তারা।
যারা এসি রুমে বসে গল্প গুজবে ব্যস্ত থাকে মাঠ পর্যায়ের কর্মরত সাংবাদিকদের নিকট হতে তথ্য নিয়ে ঢাকায় পাঠায় সেই কর্মরত সাংবাদিকদের বঞ্চিত করলো সেলিম ওসমানের টাকা হতে । মন্ত্রী গাজী ও মডেল গার্মেন্টস এর টাকা পাননি মাঠ পর্যায়ের কর্মরত সাংবাদিকরা। এবার সেলিম ওসমানের অনুদান হতে বঞ্চিত করা হলো। করোনা ভাইরাসের কারনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমান শুধু মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করে ৪ হাজার টাকা করে প্রদান করেছিল কিন্তু অনেক সাংবাদিক সেখান থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন।