সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
কোন সময় রাত নয় দিন নয় খাদ্য নিয়ে ছুটছেন অসহায় মানুষদের পাশে।আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবর নিচ্ছেন কারো কোন সমস্যা আছে কিনা।এ যেনো এক অন্যরকম মানবতা।তিনি আর কেউ নন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭,৮,৯ নং ওর্য়াড এর কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার ঘটলো এক অন্যরকম কাহিনী।বলতে গেলে এক মানবতার মা’র পরিচয় দিলো নাসিক এই কাউন্সিলর।ফোনে খবর পেয়েই দ্বিতীয়বারের মতো নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার স্টেডিয়ামের পাশে এক মধ্যবিত্ত পরিবারের গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নিয়ে ডেলিভারি করালেন তিনি।
ওই সময় তার সাথে ছিলেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি। এর আগে কাউন্সিলর দিনা এক অসহায় গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নিয়ে ডেলিভারির ব্যবস্থা করেন সম্পূর্ণ নিজ খরচে। জানা যায়, সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ঐ নারী ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। মা ও নবজাতক দু’জনই বর্তমানে সুস্থ আছেন।প্রসূতির অপারেশনের প্রায় ৭০% খরচ নিজ অর্থায়নে করেন নাসিক এই কাউন্সিলর।
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা বলেন,আল্লাহপাকের অশেষ মেহেরবানিতে আজ দ্বিতীয় বারের মতো আমার আর সাংবাদিক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি আপার প্রচেস্টায় গোদনাইল এস.ও রোডের সুফিয়া জেনারেল হাসপাতালে জন্ম নিলো আরও একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান।
প্রীতি আপা বিকালে ফোন দিয়ে বললো তার এক পরিচিত ভাই এর স্ত্রী গর্ভবতী। শরীরের অবস্থা ভালো না। আমি সাথে সাথেই বললাম নিয়ে আসেন বাকিটা আমি দেখবো। তারপর ইফতারের পরেই প্রীতি আপা ফোন দিয়ে জানালো ভাবীর ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে এক্ষুনি নিয়ে আসছে। আমি আর প্রীতি আপা সেই ভাবীকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখানোর সাথে সাথেই আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বলা হলো এক্ষুণি ডেলিভারি করাতে হবে।
সাথে সাথে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হলো তাকে। আল্লাহপাকের রহমতে কিছুক্ষণ পরেই জন্ম নিলো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান। আল্লাহপাকের রহমতে মা ও বাচ্চা দু’জনেই সুস্থ আছে।’’ কাউন্সিলর দিনা সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,আপনাদের আশে পাশের কেউ যদি গর্ভবতী থাকেন তাদের প্রতি একটু খেয়াল রাখবেন। যদি এমন কেও থাকেন গর্ভবতী কিন্তু ডেলিভারি করার এই মুহুর্তে সামর্থ্য নেই, আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।
এই জনপ্রতিনিধি আরো বলেন,আমি ধন্যবাদ জানাই সাংবাদিক প্রীতি আপাকে, সময় মত এই গর্ভবতী মা’কে নিয়ে না আসলে হয়তো কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারতো। সেই সাথে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই ডাঃ তাইফুর ভাইকে। এই দূর্যোগে যেখানে ডাক্তার পাওয়া যায়না সেখানে সে নিয়মিত তার হাসপাতাল “সুফিয়া জেনারেল হসপিটাল” এ বসে নিয়মিত রোগী দেখছেন। এগিয়ে আসছেন অসহায় গর্ভবতী মায়েদের পাশে।