1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
জনপ্রতিনিধিরা কখনই কোথাও বসে থাকতে পারে না: মেয়র আইভী - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বৃষ্টিতে ভিজেও মানবিক সচেতন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন BHDS অপরাধ প্রতিরোধ কল্যাণ সংস্থা  সকাল নারায়ণগঞ্জ পরিবারের পক্ষ থেকে দিপা হাসেম এর জন্মদিনে শুভেচ্ছা বন্দরে আতাউর রহমান মুকুলের ওপর  হামলা, এড. মতিনের তীব্র নিন্দা এখন সময় দেশ মাতৃকার সেবা করার” — ডা. মজিবুর রহমান হজ শেষে দেশে ফিরলেন ৬০,৫১৩ হাজি মহররম ও আশুরার সঙ্গে কারবালার সম্পর্ক কি? রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড, রিজার্ভ ছাড়াল ৩১ বিলিয়ন ডলার অস্ট্রেলিয়ায় চার দলীয় সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ আল হিলালের কাছে হেরে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ম্যানসিটির মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

জনপ্রতিনিধিরা কখনই কোথাও বসে থাকতে পারে না: মেয়র আইভী

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০
  • ১২৪ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

করোনা মোকাবেলায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, মেডিকেল সেবা, নমুনা সংগ্রহসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৯০ টনের মতো চাল পেয়েছি। যা ইতিমধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে আমরা বিতরণ করেছি। আগামীকালও আমরা বিতরণ করবো। সে অনুযায়ী হিসেব করলে প্রায় ৫০ হাজার পরিবারকে দশ কেজি চাল ও ডাল বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এর বাইরেও সামাজিকভাবে অনেকেই দান করে যাচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে বিত্তবানরা এগিয়ে এসেছে। কেউ নিজেরা দিচ্ছে, কেউ আবার কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিতরণ করছে।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে নগরভবনে বিশেষ ওএমএস কার্ড ও চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষে গণমাধ্যমে তিনি একথা বলেন। 

তিনি বলেন, এই করোনাভাইরাস একটি ঘাতক ভাইরাস। সারা পৃথিবীতেই এটা ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। সেই কার্যক্রমের মধ্য থেকে আজকে ১০ টাকা মূল্যের চাল বিতরণ করলাম। ওএমএস কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করলাম। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার কার্ড আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন পেয়েছি। আমরা চাহিদা আরও বেশি দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে আমরা আরও কার্ড পাবো। আমরা আমাদের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে এই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখবো।

সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন আমরা আমাদের মেডিকেল টিম গঠন করেছি। আমরা টেলিফোনের মাধ্যমে আমাদের ১৬ জন চিকিৎসক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েও আমরা আমাদের চারটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রোগী আনা-নেওয়া করছি। এছাড়া আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যাম্পল কালেকশন করছি। ইতিমধ্যে ৫১১ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছি। আমাদের টেকনেশিয়ানের খুবই অভাব। আমাদের চারজন টেকনেশিয়ানের তিনজনই অসুস্থ। মাত্র একজন কাজ করছেন।

তবে বেসরকারিভাবে দুজন টেকনেশিয়ান পেয়েছি। সীমিত সংখ্যক লোকের ছোট্ট এই টিম নিয়ে আমরা সিভিল সার্জনকে সহযোগিতা করছি। আমরা প্রতিদিন ক্লোরিনমিশ্রিত পানি পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসূল এলাকায় ছিটাচ্ছি। আমাদের এত গাড়ি ছিল না। দুয়েকজন ভাই আমাদের গাড়ি দিয়েও সহযোগিতা করছে।পরিচ্ছন্ন কর্মীদের স্যালুট জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন আমাদের সুইপাররা (পরিচ্ছন্ন কর্মী) কাজ করছে। এই দুর্যোগের সময় তারা কাজ করছে। তাদেরকে একটা স্যালুট না দিলেই নয়। এছাড়া সুপারভাইজাররা কাজ করছে। তারাও অনেকে অক্রান্ত হয়েছে। প্রতিটা লোকই কাজ করছে। আপনারা তাদের জন্য দোয়া করবেন।

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, জনপ্রতিনিধিরা কখনই কোথাও বসে থাকতে পারে না। যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বপ্রথম এগিয়ে আসে স্থানীয় কাউন্সিলর, স্থানীয় প্রশাসন। এমন কোন কাউন্সিলর নাই যে ঘরে বসে আছে। লাশ দাফন, সৎকার থেকে শুরু করে প্রতিটা কাজ তারা করে যাচ্ছে। আমার সিটি কর্পোরেশনে ৯ জন নারী কাউন্সিলর রয়েছেন। প্রতিটা নারী কোন কাজে ভেদাভেদ না করে কবরস্থান থেকে শ্মশান পর্যন্ত, চাল দেয়া, ডাল দেয়া থেকে শুরু করে প্রতিটা কাজে অংশগ্রহণ করছে। কেউ মিডিয়ার কভারেজ বেশি পাচ্ছে কেউ আবার কম পাচ্ছে। নদীর ওপার থেকে শুরু করে সিদ্ধিরগঞ্জের একেবারে কোনার মানুষ পর্যন্ত পৌছাচ্ছে আমার প্রতিটা কাউন্সিলর।তিনি আরও বলেন, আমাদের কবরস্থান ও শ্মশানে আমাদের নিজস্ব কমিটি আছে। দাফন, দাহ করা থেকে শুরু করে সকল কাজ ওই কমিটির লোকজন করছে এবং কাউন্সিলররা তাদের সহযোগিতা করছে।

এজন্য ওই কাউন্সিলরদেরকে আতি অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যেখানে আত্মীয়-স্বজনরা আসতে পারছে না, মা তার ছেলেকে, ভাই তার বোনের কাছে আসতে পারছে না সেখানে আমার কাউন্সিলররা বাড়ি থেকে লাশ বের করে দাফনের ব্যবস্থা করছে। আমার এমন কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী নাই যারা এই কাজের সাথে যুক্ত না।মেয়র বলেন, দেশবাসীকে জানাতে চাই, নারায়ণগঞ্জ ভালো আছে, ভালো থাকবে। আমাদের একটু সমস্যা তো ছিলই। কারন আমরা শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। এমন কোন জেলা নাই যেই জেলার লোক নারায়ণগঞ্জে কাজ করে না। সুতরাং নারায়ণগঞ্জের কোন লোক অন্য জেলায় গিয়ে করোনাভাইরাস ছড়ায় নাই। সবকিছু যখন বন্ধ হয়ে গেলো তখন শ্রমিক ভাইরা চলে গেলেন নিজ এলাকাগুলোতে। ওখানে গিয়ে হয়তো তারা ছড়িয়েছে কারন এটা ছোয়াচে রোগ।তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে যখন কেউ এটা সামাল দিতে পারছে না সেখানে আমাদের বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন সেগুলো মেনে চলছে আমরা আল্লাহর রহমতে অনেকটা ওভারকাম করতে পারবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন, প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজ বিভা, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস প্রমুখ।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL