সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি সাধারণ ছুটিও। বলা হয়েছে, ছুটির দিনগুলোতে অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়া ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্যে। প্রধান প্রধান সড়কগুলো ফাকা হলেও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে লোকে লোকারণ্য শহরের অলিগলি এবং বাজারগুলো।
বৃহস্পতিবার(২৩ এপ্রিল) সকালে নগরীর ৫ নং মাছঘাট এবং দ্বিগুবাজার সরজমিনে পরিদর্শন করে এদৃশ্য দেখা যায়। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং নারায়ণগঞ্জকে করোনার ক্লাস্টার হিসেবে ঘোষণা করেছে।
৬৪ জেলার মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৫৫ জেলায় কভিড-১৯-এর রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক লোকের মধ্যে করোনার সংক্রমণ হচ্ছে হাট-বাজার থেকে। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে বড় বাজারগুলোকে খোলা মাঠে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।
এখনো বাজারগুলোতে ভিড় লেগেই আছে। দিন যত গড়াচ্ছে বাজারগুলোতে ভীড় আরো বাড়ছেই। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গত কয়েক দিন বাসায় থেকে থেকে বিরক্তি লেগে গেছে, তাই তারা বাজারে এসেছেন। তবে তারা এটাও মানছেন, এই পরিস্থিতিতে বের হওয়া ঠিক হয়নি।
এবিষয়ে প্রশাসনকে আরো কঠোর না হয় তাহলে আরো ভয়ংকর রূপ নিতে পারে করোনা ভাইরাস। শুধু সড়কগুলোতে নয় পাড়া-মহল্লা এবং বাজারগুলোতে কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানিয়েছে সুধী সমাজ।