সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের পাশে যেসব সংগঠন, জনপ্রতিনিধি বা ব্যক্তি দাঁড়িয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবীদ মোঃ মোস্তফা কামাল। অন্য যে কোনো সংগঠন, জনপ্রতিনিধি বা ব্যক্তির চেয়ে মানবতার সেবায় অনেকটা এগিয়ে এ ব্যবসায়ী। কেউই যখন আক্রান্ত হয়নি তখন থেকেই সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সে ধারাবাহিকতায় তার নিজ এলাকা রামারবাগসহ আশেপাশের এলাকা এবং তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার কর্মহীন ও অস্বচ্ছলদের মাঝে নিজ্ব অর্থায়নে সাধ্যমতো খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন মোস্তফা কামাল। শুধু খাদ্য সামগ্রীই নয়, প্রয়োজনে অর্থ দিয়েও সহযোগীতা করছেন এ ব্যবসায়ী।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ২০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী রামারবাগ এলাকার দরিদ্রদের মাঝে সুষম বন্টনের মাধ্যমে বিতরণ করেছেন। তার নিজ অর্থায়নের খাদ্য সামগ্রীসহ অন্যান্য সকল ত্রাণ রাত জেগে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন এবং যারা এখনো এসব ত্রাণ পান নি, খুব শীঘ্রই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দেয়া হবে বলেও জানা যায়।
এর আগেও এলাকাবাসীদের সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস ও সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ করেছেন তিনি।
এই দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর কারণে এখন সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসায় ভাসছে মোস্তফা কামালের এসকল মানবিক কর্মকাণ্ড।
ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সকাল নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষের যে কোনো ক্রান্তিকালে আমার নেতা একেএম শামীম ওসমান সর্বদা মানুষের পাশে ছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় আমার নেতার নির্দেশে এই ভয়াবহ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই সাধ্যমতো মতো নিজের অর্থায়নে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সর্বদা কাজ করছি। মানবতার সেবায় নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখছি।’ একই সাথে সাংসদ শামীম ওসমানের পক্ষ থেকে যে ত্রাণ দেয়া হয়েছে তা মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও চলছে লকডাউন। এ লকডাউনের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির ফলে খেটে-খাওয়া মানুষগুলো আজ গৃহবন্দী ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আমাদের নেত্রী, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীদেরকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি অসহায় মানুষের কথা ভাবেন, এ জন্য বরাদ্দও দিয়েছেন। তাই অসহায়, গরীব মানুষদেরদের জন্য আমি এই সামান্য উপহারপহার সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি।
শুধু তাই নয়, যতদিন মহামারী এ করোনার সংকট থাকবে ততদিন অসহায় মানুষদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মোস্তফা কামাল।
সেই প্রত্যয়ের অংশ হিসাবে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের অবর্ণনীয় কষ্টের কথা চিন্তা করে আসন্ন রমজান মাসেওও ঘরবন্দী, কর্মহীন ও অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবেন বলে জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমি আশা করি এই দুর্যোগের সময়ে সমাজের বিত্তবান উচুঁ শ্রেণির মানুষগুলোও অসহায়দের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবে।
বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সমগ্র নারায়ণগঞ্জবাসীসহ দেশবাসীকে নিরাপদে রাখতে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মোস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বের এক আতংঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস, এ ভাইরাস থেকে আমাদেরকে বাঁচতে হলে সবাইকে বেশি বেশি করে সচেতন হতে হবে। সবার সচেতনতাই পারবে বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত করতে।
তিনি বলেন, আমি আমার এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ করবো সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে চলুন এবং যতদিন না করোনার এ সংকটময় পরিস্থিতির উন্নতি হয় ততদিন নিজ নিজ ঘরে থাকুন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হবেন না।