কাল নারায়ণগঞ্জঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে। ইসলামী আন্দোলন যদি প্রতিহিংসার রাজনীতি করত তাহলে এতক্ষণে নূর হোসেন ভাইয়ের হামলাকারীদের বাড়ীঘরের অস্তিত্ব থাকতো না।
আমরা প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে চাই। আমরা সংঘাত চাই না। তবে এই পরিকল্পিত হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জুলাইয়ের বিপ্লবের রক্ত এখনো শুকায় নাই। জুলাই আন্দোলনের আমেজ এখনো শেষ হয়ে যায় নাই। অপরাধীরা যদি অধরা থাকে তাহলে পুনরায় সেই আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার বিকাল ৪ টায় বন্দর শাহী মসজিদ পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন-এর উপর সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২১ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মুহা. ইমাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সভাপতি মাও. দ্বীন ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মুহা. জাহাঙ্গীর কবির, নগর সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ, সংখ্যালঘু সম্পাদক আবুল হাশেম, নগর ছাত্র আন্দোলন সভাপতি এইচ এম শাহীন আদনান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান বক্তা মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন নুর হোসেন ভাই। এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। এ কারণেই মাদকসেবী ও চাঁদাবাজরা সন্ত্রাসী কায়দায় তার উপর হামলা করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারক উৎখাত হয়েছে। শায়খে চরমোনাই ৪ তারিখ ঘোষণা দিয়েছিলেন গণভবন দখল করার। ঠিক পরের দিন ৫ আগস্ট পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে গণভবন অভিমূকে রওয়ানা হয়েছিলেন যেটা মিডিয়া ও জনগণ স্বাক্ষী। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। অন্যথায় ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেলে সেটার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
এই সন্ত্রাসীরা আজ আমাদের দায়িত্বশীলকে হামলা করেছে, আগামীতে অন্য আরেকজনকে করবে। আপনাকে করবে, আমাদের কোন আত্মীয়কে করবে। এখনই ওদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে। সমাজ থেকে এদেরকে সমূলে মূলোৎপাটন করতে হবে। তাই আসুন, পীর সাহেব চমোনাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করি। আগামীতে হাতপাখার পক্ষে ইসলামী আন্দোলনের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হই। সুখী, সমৃদ্ধ ও কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। আল্লাহ আমাদের সয়ায় হোন। আমীন