নাটোর জেলা বাস মালিক সমিতির বাসের সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে শহরের বড়হরিশপুর বাস টার্মিনালের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরপি রোকেয়া পরিবহণ মালিকের ভাতিজা সুবেল (২৭) ও আহত সমিতির মাস্টার ধীরেন্দ্র নাথকে (৪৫) শনিবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া অভিযোগ করেন, জেলা বাস মালিক সমিতির প্রতি সদস্যের সর্বোচ্চ ১৫টি করে বাস রাস্তায় নামানোর অনুমতি রয়েছে।
সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজকীয় পরিবহণের মালিক মজিবর রহমান এ নিয়ম অমান্য করে ২০টি বাস নামান। তার ঢাকাগামী বাসের সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে ম্যানেজার খোকার নেতৃত্বে মধ্যরাতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী বাস টার্মিনাল এলাকায় সমিতির মাস্টার ধীরেন্দ্র নাথকে কুপিয়ে আহত করে।
এ সময় বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা আরপি রোকেয়া পরিবহণের মালিকের ভাতিজা সুবেলকে গুলি করে চলে যায়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপক্ষের সংঘর্ষে মোট সাতজন আহত হয়েছেন। আহত অন্যরা হলেন মো. আবুল হোসেন (৪৫), কিরণ হোসেন (৫০), মো. সুরুজ মিয়া (৪২), মো. খোকা (২৭) ও মো. মোমিনুল ইসলাম হিমেল (২৮)।
এদিকে সংঘর্ষের পর সমিতির তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে মধ্যরাতেই জেলা সমিতির বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতার না করলে বাস বন্ধ রেখে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
এ খবর পেয়ে শনিবার ভোর ৩টার দিকে স্থানীয় সংসদ-সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং বাস চলাচল স্বাভাবিক করেন।
সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকালে তার মালিকানাধীন রাজকীয় বাস, সমিতির বর্তমান নেতারা কাউন্টারে আটকে রাখলে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার কোনো লোকজন এই সংঘর্ষে জড়িত ছিল না।
শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে আহত কিরণের বাবা ১২ জনের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় মামলা করেছেন।
নাটোর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পর বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।