সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
প্রবাদে রয়েছে উপকারের প্রতিদান বাশ। ঠিক তেমনই এক নজির দেখা গেছে ফতুল্লা থানাধীন ৩০৫নং পশ্চিম দেওভোগ এলাকায়। মানবতার খাতিরে এক পরিবারকে ভিটে মাটি ভাড়া দিয়েছিল বিধবা রেশমা বেগমের পরিবার। এখন সেই ভিটে নিজেদের দাবি করে জোড়পূর্বক দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে ভাড়াটিয়া দুই সহোদর মোঃ সুজন খন্দকার এবং সাখাওয়াত হোসেন শোভার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। বিষয়টি নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী রেশমা বেগম, (অভিযোগ নং-৯৫৬)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রেশমা বেগমের স্বামী মৃত হারুন অর রশিদ তার জীবদ্দশায় দুই মামাতো ভাই মোঃ সুজন খন্দকার এবং সাখাওয়াত হোসেন শোভার কাছে (উভয়ের পিতা মালেক খন্দকার) নিন্ম তফষির বর্ণিত এক শতাংশ ভিটেমাটি ভাড়া দিলে সেখানে অভিযুক্তরা একটি টিনশেডের ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু হারুন অর রশিদের মৃত্যুর পর বর্তমানে অভিযুক্ত সুজন ও শোভা ওই জায়গা নিজেদের দাবি করে জোড়পূর্বক দখল নেয়ার পায়তারা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ওই দুই সহোদর রেশমা বেগমের পরিবারকে প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে বহুবার আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় গত বছরের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী রেশমা বেগমের পরিবার। বিষয়টি এসপি হারুন অর রশিদ মিমাংসা করে দিলেও তার বদলির পর পূনরায় সেই জায়গা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে সুজন ও তার ভাই শোভা।
শুধু তাই নয়, এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে রেশমা বেগমের পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং তাদের ভয় ভীতি ও প্রাণ নাশ এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে সুজন ও শোভা।
পরবতর্ীতে বিষয়টি নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী রেশমা বেগম।
এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমজাদ। এসময় তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে সকল প্রকার সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত সুজন ও শোভা যে জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছে, সেটি ফতুল্লা থানা ও সাব রেজিষ্ট্রি বড় দেওভোগ মৌজার জে.এল নং-৩৭, এস.এ খতিয়ান-৪৯৪, আর.এস খতিয়ান-৬৫৪, এস.এ দাগ-৫২৪, ৫২৫, আর.এস দাগ-১১৯৩, ১১৮৮।