1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
শিশু-কিশোরদের অনুপ্রেরণা শেখ রাসেল - সকাল নারায়ণগঞ্জ
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ২নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত নারায়ণগঞ্জ এসপি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ শামীম’কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ১৯৫০ পিস ইয়াবাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ১১ গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” কর্মসূচির উদ্বোধন, ১৪টি স্থানে ১০ হাজার চারা রোপন হাতেমের নেতৃত্বাধীন প্রোগ্রেসিভ নীট অ্যালায়েন্স পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী সোনারগাঁয়ে ১টি বিদেশি রিভলবার ও ৮ রাউন্ড গুলিসহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাবেক মেয়র আইভী  সকাল নারায়ণগঞ্জ নিউজ পোর্টাল ফেসবুক পেজে ৫০ হাজার মেম্বার হওয়ায় সকল পাঠককে শুভেচ্ছা  সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ  আইনজীবীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন জাকির খান, ফুল দিয়ে বরণ

শিশু-কিশোরদের অনুপ্রেরণা শেখ রাসেল

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২১৪ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

ইতিহাসের নিকৃষ্টতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল। মাত্র ১০ বছর ১০ মাস বয়স। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর স্কুল ড্রেস পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকার কথা ছিল তার। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাবেন সমাবর্তনে যোগ দিতে। তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেবে ল্যাবরেটরি স্কুলের শিশুরা। সারা দেশ অপেক্ষায় ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হওয়ার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস-১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ঘাতকরা সপরিবারে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। শেখ রাসেল অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করে বলেছিলেন, ‘মায়ের কাছে যাব’। বর্বর ঘাতকরা তাণ্ডব শেষে ঠান্ডা মাথায় হাসতে হাসতে গুলি করে হত্যা করে শিশু রাসেলকে। অথচ তার তখন রাজনীতি ও পৃথিবী সম্পর্কে বুঝে ওঠার মতো বয়স হয়নি।

শেখ রাসেলের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর। তখন হেমন্তকাল। নবান্নের নতুন ফসলের উৎসবে আগমন নতুন অতিথির। ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর রোডের বাসায় শেখ হাসিনার (আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) কক্ষেই রাত দেড়টায় জন্ম হয় শেখ রাসেলের। রাসেলের আগমনে পুরো বাড়িতে বয়ে যায় আনন্দের জোয়ার। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে শিশু রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার রচিত ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ বইয়ে লিখেছেন, ‘রাসেলের জন্মের আগের মুহূর্তগুলো ছিল ভীষণ উৎকণ্ঠার। আমি, কামাল, জামাল, রেহানা ও খোকা চাচা বাসায়। বড় ফুপু ও মেজো ফুপু মার সঙ্গে। একজন ডাক্তার ও নার্সও এসেছেন। সময় যেন আর কাটে না। জামাল আর রেহানা কিছুক্ষণ ঘুমায় আবার জেগে ওঠে। আমরা ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে জেগে আছি নতুন অতিথির আগমন বার্তা শোনার অপেক্ষায়। মেজো ফুপু ঘর থেকে বের হয়ে এসে খবর দিলেন আমাদের ভাই হয়েছে। খুশিতে আমরা আত্মহারা। কতক্ষণে দেখব। ফুপু বললেন, তিনি ডাকবেন। কিছুক্ষণ পর ডাক এলো। বড় ফুপু আমার কোলে তুলে দিলেন রাসেলকে। মাথাভরা ঘন কালো চুল। তুলতুলে নরম গাল। বেশ বড়সড় হয়েছিল রাসেল।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। তার বই তিনি পড়তেন। বার্ট্রান্ড রাসেল শুধু একজন দার্শনিকই ছিলেন না, বিজ্ঞানীও ছিলেন। ছিলেন পারমাণবিক যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের একজন বড় মাপের বিশ্বনেতাও। তার নামানুসারেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রাখা হয় রাসেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ বইয়ে লিখেছেন, ‘আব্বা বার্ট্রান্ড রাসেলের খুব ভক্ত ছিলেন, রাসেলের বই পড়ে মাকে ব্যাখ্যা করে শোনাতেন। মা রাসেলের ফিলোসফি শুনে শুনে এত ভক্ত হয়ে যান যে, নিজের ছোট সন্তানের নাম রাসেল রাখলেন।’

রাসেল বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো ৫৯ বছর। আমরা এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা করছি। বেঁচে থাকলে তিনিও হয়তো শামিল হতেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে। তিনিও নিঃসন্দেহে নিজেকে দেশের জন্য নিয়োজিত রাখতেন। তিনিও হয়তো জাতির পিতার মতো বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার কান্ডারি হতেন। কিংবা হতে পারতেন বার্ট্রান্ড রাসেলের মতোই স্বমহিমায় উজ্জ্বল বিশ্বমানবতার প্রতীক। শিশু রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মানবসভ্যতার ইতিহাসে জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এ ধরনের নিষ্ঠুর ‘মার্সি কিলিং’ শুধু রাসেলের জীবনই কেড়ে নেয়নি, সেই সঙ্গে ধ্বংস করেছে তার সব অবিকশিত সম্ভাবনাকেও।

শেখ রাসেল ছিলেন প্রাণচঞ্চল, বন্ধুবৎসল ও মানবিক। নিষ্পাপ ও নির্মল শেখ রাসেল আমাদের শিশু-কিশোরদের কাছে অনুপ্রেরণার নাম। দশ বছর বয়সেই তার নেতৃত্বগুণ, সহনশীলতা ও ধৈর্যের প্রকাশ আমরা দেখতে পাই। ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো জাতীয়ভাবে দেশব্যাপী ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ আমরা পালন করছি। এ দিবস পালনের মাধ্যমে শেখ রাসেলের বেড়ে ওঠা, মানবিকতা, উদারতা, অতিথিপরায়ণতা এবং তার দশ বছর জীবনের জীবন সংগ্রাম-এ সবকিছু আমরা তুলে ধরতে চাই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে। শেখ রাসেলের নির্মল, দুরন্ত ও প্রাণবন্ত শৈশব প্রত্যেক শিশুর কাছে তুলে ধরতে এবং প্রতিটি শিশুকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও নির্ভীক সোনার মানুষে পরিণত করতেই এ উদ্যোগ।

আমি ১৯৭৫ সালের আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম নির্মম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই এবং শিশু রাসেলসহ সেই হত্যাকাণ্ডের সব শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL