নিম্ন আয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেয়া ২ লাখ ১ হাজার ৪’শ স্মার্টকার্ডের মধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার কার্ড গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ।
সোমবার (৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও টিসিবি কর্তৃক আয়োজিত কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে রমজান উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলায় টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন শীর্ষক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ এবং বরিশালে টিসিবির স্মার্ট কার্ড পাইলটিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হাতে লেখা সকল কার্ড কিউআর কোড সম্বলিত স্মার্ট কার্ডে রুপান্তর করা হয়েছে। এসব কার্ড স্মার্ট কার্ডের ফলে অসঙ্গতিগুলো দূর করা সহজতর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
ডিসি মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, আমরা সবাই জানি করোনা মহাসংকটের পরপরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। তা সত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব ও স্বল্প আয়ের মানুষদের মধ্যে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশ্বের উন্নতসহ অনেক দেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের বেশি ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে না।
বিশ্ববাজার বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণে বেশ কিছু এলাকায় অনিয়ম ও গ্রাহকদের ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে। এই অনিয়ম ও জনভোগান্তি দূর করতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘হাতের মুঠোয় টিসিবি পন্য’ নামে মোবাইল এ্যাপস উদ্ভাবন করেছে।
এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সকল উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে টিসিবির পণ্য সামগ্রী যথাযথভাবে পাচ্ছে কি’না তা এক ক্লিকে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করা সম্ভবপর হবে । ডিস্ট্রিবিউটর বা জনপ্রতিনিধিদের কেউ কোন ধরণের অনিয়ম ও দূর্ণীতির চেষ্টা করলে সাথে সাথে তা এ্যাপস এ দ্রুত ধরা পড়বে।
এছাড়া গ্রাহক নির্ধারিত বরাদ্দের বেশি একাধিকবার পণ্য জেলার কোথাও থেকে ক্রয়ের চেষ্টা করলেও ধরা পরে যাবে। কোন ডিস্ট্রিবিউটর কতজন গ্রাহকের মাঝে কি পরিমান পণ্য সরবরাহ করেছেন সেটি খুব সহজে তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারবে।
এই প্রক্রিয়ার ফলে সরকারি পণ্যের যথাযথ ব্যবহারসহ যে কোন ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতি রোধ করবে।
এ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলায় ২ লাখ ১ হাজার ৪’শ ২০টি স্মার্ট কার্ডের মধ্যে ১লাখ ৬৯ হাজার কার্ড গ্রাহকের হাতে পৌছে দেয়া হয়েছে।বাকীদের দ্রুততম সময়ে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌসসহ টিসিবি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।