অদ্য ২ রা এপ্রিল ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ, নারায়নগঞ্জের বন্দরে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের উদ্যোগে “অটিজম -কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তি ”- শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের সাবিলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সমাজহিতৈষী আলহাজ্ব আবদুল মান্নান মেম্বার ও পরিচালক গাজী খোকন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষক শিক্ষয়িত্রী ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের অভিভাবক বৃন্দ।
এখানে উল্লেখ্য যে, অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে।
হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে পুরো বিশ্বে মানবিক জীবন যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে অটিজম আক্রান্ত প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর ও তাদের পরিবারও এর বাহিরে নয়। বরং এই অবুঝ শিশু-কিশোরদের নিয়ে তাদের আধিকাংশের পরিবার আরো অধিকতর মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইউক্রেন যুদ্ধে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়ানো সমাজের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাড়িয়েছে।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে আমি সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করবো আপনারা সাধ্যানুযায়ী প্রতিবন্ধী পরিবারগুলুর পাশে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করে পাশে দাড়ান। অটিস্টিক শিশু কিশোরদের উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র প্রস্তুতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।
অটিজম জননী হাসিনা রহমান সিমু প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্যা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আপার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের সব সুযোগ সুবিধা সহ নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেজন্য বাংলাদেশ গর্বিত । আজ তিনি প্রতিবন্ধী সেবায় বিশ্ব মানবতার প্রতিক।
সেই সাথে আমি মনে করি বৈষম্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধীদের প্রতি অবহেলার সুযোগ নেই। সমাজের নাগরিকদের সহযোগিতাই প্রতিবন্ধীদের জীবন নির্বাহে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠান শেষে অভ্যাগতদের ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাতে র্যালী করা হয়।