ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি বলেছেন, সরকারের মন্ত্রী—এমপিদের দুর্নীতির কারণে দেশের সর্বত্র দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে। দেশের সর্বত্র চলছে দুর্নীতি আর দুঃশাসনের মহা প্রতিযোগিতা।
সুইপার—কুলি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি পর্যন্ত সকলেই কোন না কোনভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িত। সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতির ভয়াবহ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যাধি। এই ব্যাধি জাতি হিসেবে আমাদেরকে বিশ্বের সামনে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী রমজানকে সামনে রেখে একদিকে ইবাদত বন্দেগী করে অপরদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করে। এমন ইবাদত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
তাই মুল্য বৃদ্ধি ও খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে হবে। মাহে রমজানের সম্মানে সব ধরণের গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকতে ও রাখতে সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ ২০২৩) বাদ আসর নগরীর ডি.আই.টি চত্বরে মাহে রমাযানের পবিত্রতা রক্ষা, অশ্লীলতা—বেহায়াপনা বন্ধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশে রমজানে পণ্যের অফার দিয়ে কমমূল্যে বিক্রি করে, অথচ আমাদের দেশে প্রতিযোগিতা করে কে কার থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে পারে।
নগর সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি মুহা. জাহাঙ্গীর কবির, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলার সভাপতি যথাক্রমে মাওলান হাবিবুল্লাহ হাবিব ও মুহা. ওমর ফারুক, ইসলামী যুব আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলার সভাপতি যথাক্রমে মুহা. রবিউল ইসলাম ও যোবায়ের হোসেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলার সভাপতি যাথাক্রমে মুহা. মেহেদী হাসানও আব্দুল হান্নান সহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতি দ্বীন ইসলাম বলেন, সকল দিক থেকে রমজানের মাহাত্ব ও গুরুত্ব¡ অপরিসীম হলেও রমজানের মর্যাদা আমাদের দেশে চরমভাবে ভুলুন্ঠিত। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় রাষ্ট্রীয়ভাবেও কোন উদ্যোগ নেই। নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যাদির কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি করে রমজানের গুরুত্বকে ম্লান করে দেয়া হয়। আবার রমজান মাসেও একশ্রেণির লম্পট অশ্লীলতা—বেহায়াপনা, বেপর্দা—নগ্নতার ছড়াছড়ি করে রোজাদারদের পবিত্রতা বিনষ্ট করার পরিবেশ তৈরি করে। এসকল অন্যায় ও খোদাদ্রোহীতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্মূল করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব সরকারের। তাছাড়াও সাহরী ও ইফতারে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি জানান।