1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
নারায়ণগঞ্জের খানপুর ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে মহিলা ও পুরুষ দালালদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
২ ট্রাক পরিমাণ ব্যানার, সাইনবোর্ড অপসারণ ও বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্দরে ৯৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৫ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‍্যাব-১১  চাষাড়া শহীদ মিনারে মারামারি, পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ  লিংকরোডে মানববন্ধন ফতুল্লায় কিশোর মুরাদ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাসুমকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার ১ম দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন সংস্কার করে ছাত্র-জনতার আকাঙ্খা অনুযায়ী রাষ্ট্রকাঠামো নিশ্চিত করেই নির্বাচনে যেতে হবে না:গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের অনুকূলে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান ২ ট্রাক পরিমাণ ব্যানার, সাইনবোর্ড অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধির দাবি নতুনধারার

নারায়ণগঞ্জের খানপুর ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে মহিলা ও পুরুষ দালালদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২০৭ Time View
  • সকাল নারায়ণগঞ্জ

 

 

নারায়ণগঞ্জের খানপুর ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে মহিলা ও পুরুষ দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। এতে সাধারণ রোগীদের বাইরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা করাতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে। এ ছাড়া দালালদের কারণে রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক ও রোগনির্ণয়কেন্দ্রের (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) মালিকেরা এই দালাল চক্র গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের সামনে একদল তরুণ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম উজ্জ্বল। হাসপাতাল এলাকায় তাঁর বাড়ি। জরুরি বিভাগের চারদিকে সারিবদ্ধ ইজিবাইক দাঁড়ানো। ইজিবাইকের সামনে চালক দাঁড়িয়ে। এ সময় হাসপাতাল থেকে বের হন এক রোগী। হাতে তাঁর একটি ব্যবস্থাপত্র। তিনি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দালালেরা রোগী ও তাঁর স্বজনদের নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা–নীরিক্ষা করানোর জন্য টানাটানি শুরু করেন।

 

নাম গোপন রাখার শর্তে এক দালাল সকাল নারায়ণগঞ্জকে বলেন, জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় গড়ে ওঠা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মালিকেরা হাসপাতালে কর্মরত ঝাড়ুদার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ইজিবাইকচালকদের নিয়ে একটি দালাল চক্র তৈরি করেছে। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে পরীক্ষা–নিরীক্ষা লিখে দেওয়ার পর দালালেরা রোগীদের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের নিয়ে যায়। একজন রোগী নিয়ে আসতে পারলে একজন দালাল ১০০ টাকা পেয়ে থাকেন। একইভাবে সমপরিমাণ টাকা কমিশন পেয়ে থাকেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

 

খানপুর ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সামনে ও আশপাশ এলাকায় গড়ে উঠেছে ১০ থেকে ১২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিক। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা সংকট ও চিকিৎসাসেবার অব্যবস্থাপনার সুযোগে দালালরা রোগীদের নিয়ে যায় ক্লিনিকে। কতিপয় চিকিৎসকও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পাঠাচ্ছেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। রোগীরা বাধ্য হয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে ছুটছেন। পৌর এলাকায় গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চলছে চিকিৎসার নামে কমিশন বাণিজ্য। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও দালালদের কমিশন বাণিজ্যের কারণে জমজমাট হয়ে উঠেছে ক্লিনিক ও প্যাথলজি ব্যবসা। সরকারি হাসপাতালে রোগীদের প্রয়োজন ছাড়াই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

এমনকি বলে দেওয়া হচ্ছে, কোন প্রতিষ্ঠানে এসব পরীক্ষা করাতে হবে। অন্য প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে চিকিৎসকরা রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও বকাঝকা করেন বলে অভিযোগ করা হয়। তাই রোগীরা নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL