১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় প্রায় বাসায় ও দোকানপাট চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব চুরির পেছনে লেগে থাকে কিছু সংঘবদ্ধ চক্র। যখনই সুযোগ পায় তখনি মুহূর্তের মধ্যে বাসা ও দোকানে থাকা স্বর্ণ,নগদ টাকা,ক্যামেরা,মোবাইক ও দামি জিনিসপত্র চুরি করছে।
“চুরির মামলার তদন্ত বেশিরভাগ সময়েই হত্যা মামলার তদন্তের চেয়ে দুরূহ। হত্যার ঘটনায় আসামিরা কোন না কোন ক্লু রেখেই যায়, সেই ক্লু ধরে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা সহজ হয়। তবে অধিকাংশ চুরির ঘটনায় কোন ক্লু পাওয়া যায় না, চোররা বিচ্ছিন্নভাবেই বাড়ি টার্গেট করে চুরির ঘটনা ঘটায়, যার সাথে তাদের কোন যোগসূত্রই থাকে না।”
১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকাবাসী জানান,চুরির বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে তেমন একটা ফল পাওয়া যায় না, পুলিশ চুরির বিষয়ে উদাসীনতা দেখায়। অনেক ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থাকলেও তারা চোর ধরতে পারে না, উল্টো অভিযোগ করলে সিসিটিভি নষ্ট বলে অজুহাত দেখান। “চুরির ঘটনা নিয়মিতই ঘটে কিন্ত পুলিশ কোন কূলকিনারা করতে পারে না বলে শুধু শুধু মামলা করে ভোগান্তি পোহাতে চাই না”
এইদিকে ১২ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকায় একের পর এক চুরি হওয়ার পরও এলাকার কাউন্সিলর এখন পর্যন্ত এর কোন কূল কিনারা করতে পারেনি।
এলাকাবাসীর দাবি, কাউন্সিলর এতদিনে ধরে ১২নং ওয়ার্ডে রয়েছেন উনি চাইলেই এর একটা বিহিদ করতে পারেন কিন্ত তিনি এখনো কেনো নিশ্চুপ তা কারো বোধগম্য নয়।
রাত হলেই ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরের মানুষ থাকে আতঙ্কে চোরের দল জানালা দিয়ে উঁকিঝুকি করে মানুষ এতে এসিড নিক্ষেপ সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও আতঙ্কে বসবাস করছে।
ভুক্তভোগীরা থানার দ্বারস্থ হলেই চোরের শেল্টারদাতারা তাদের রাখছে চাপের মুখে এবং ভুক্তভোগীদের থানা থেকে পিছুপা হতে বাধ্য করে।
খানপুর,ডনচেম্বার,মেট্রোহলের মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা মাদকের টাকা জোগাড় করতে এই অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।
সবারই
একাধিক দোকান ও ওয়ার্কশপেও চুরি হয়েছে বলে জানান ডনচেম্বার এলাকার এক মুদি ব্যবসায়ী। এ ছাড়া ১২নং ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব চুরির কোনো কূল-কিনারা করতে পারছে না পুলিশ। একের পর এক চুরির ঘটনায় গৃহকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কারণ অধিকাংশ বাসা-বাড়ির নারী-পুরুষ দিনের বেলায় চাকরি অথবা ব্যবসার জন্য বাইরে থাকেন। এ সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরের দল চুরি করছে।
১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় বেশ কিছু সিসি টিভির ক্যামেরা ও দারোয়ান থাকার পরও কিভাবে চোরেরা এই চুরি করছে তা এলাকাবাসীর অজানা। একের পর এক এলাকায় চুরির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এক ধরনের ভীত সঞ্চার কাজ করছে। এলাকাবাসী র্যাব,ডিবি,পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।