নারায়নগঞ্জের সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশা,মিশুক,অটো ও ইজিবাইক। এতে একদিকে যেমন সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে, অন্যদিকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ে শহরে যানজট তৈরি হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় বিদ্যুতের ওপর চাপ বাড়ছে।
নারায়নগঞ্জের প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোবাইক এবং ইজিবাইক। পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোও দিনরাত দখল করে আছে অনুমোদনহীন এসব বাহন। সড়কে যত্রতত্র এসব গাড়ি পার্কিং করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী।
অটোবাইক-ইজিবাইকের দৌরাত্ম্যে শহরে দেখা দিচ্ছে যানজট। যা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম ট্রাফিক পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জবাসীর অভিযোগ, অনিবন্ধিত যানবাহনগুলো ব্যাটারিচালিত রিচার্জ করতে বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। ফলে বাড়ছে লোডশেডিং।
কোনমতেই অবৈধ ব্যাটারিচালিত মিশুক ও অটো থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারায়নগঞ্জের সাধারণ জণগণ। সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজটের বেশ কিছু কারণ থাকলেও নারায়নগঞ্জের এখন প্রধান সমস্যা অবৈধ মিশুক ও অটো গাড়ির ছড়াছড়ি। বিগত কয়েক বছর থেকে নারায়ণগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে টমটম ও মিশুক গাড়ি। যা নারায়ণগঞ্জের ধারণ ক্ষমতা থেকে অনেক গুণ ছড়িয়ে গেছে। যার কারণে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে যানজট ও দুর্ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় রেকারে কর্মরত শহিদুল,হাসান,বাশার,শফিক এদের কাছে কোন সংবাদকর্মী প্রতিদিন সাংবাদিকের নাম ব্যবহার করে কতটা গাড়ি ছাড়া হচ্ছে এবং প্রতিদিন কত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে ও প্রতিদিন কয়টা গাড়ি ধরা হয়, ছাড়া হয় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অনীহা প্রকাশ করেন সাথে টিআই করিম শেখের সাথে কথা বলে জেনে নিতে বলেন।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় নারায়নগঞ্জের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সাধারন জনগনের মিশুক ও অটো ধরে রেকার বিল করলেও ছেড়ে দিচ্ছে স্টিকার লাগানো গাড়িগুলো। এতে একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে সাধারন মিশুক ও অটোচালকরা।
জামাল নামে একজন মিশুক চালক জানান,শহরে স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের ছেড়ে দেন কিন্ত আমার গাড়িতে স্টিকার বা কার্ড না থাকায় তারা আমার গাড়ি ধরে নিয়ে আসছে।