নারায়ণগঞ্জ শহরের বিনোদন হোক কিংবা সমাগমের কেন্দ্রবিন্দু বলতে বোঝায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শহর ও শহরতলীর যেকোন প্রান্তর থেকে এখানে লোকজন এসে জড়ো হয়। বিশেষ করে শহরের ভেতরে উন্মুক্ত স্থান তেমন একটি না থাকায় এই শহীদ মিনারে সকাল থেকে লোকসমাগম দেখা যায়। বিগত দিনে সাধারণত সংস্কৃতি কর্মীদের আড্ডাস্থল ছিল এই শহীদ মিনার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কৃতিকর্মীদের স্থান দখল করে নিয়েছে বখাটে কিশোর গ্যাং,ছিনতাইকারী চক্র এবং ভাসমান পতিতারা।
এদিকে শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্র। চাষাঢ়া শহীদ মিনার ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকেই আনাগোনা থাকে ছিনতাইকারী চক্রের। প্রায়শই সাধারণ নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে মোবাইল ও টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী চক্র। এছাড়া প্রায়ই কিশোর গ্যাংদের মধ্যেও হাতাহাতি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারে ক্রমশই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং,ছিনতাইকারী ও ভাসমান পতিতারা। নগরীর এমন কোনো পাড়া-মহল্লা নেই, যেখানে কিশোর গ্যাংয়ের উপস্থিতি নেই। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও নিস্তার পাচ্ছে না এই কিশোর গ্যাংয়ের কবল থেকে। পর্দার আড়ালে থেকে যারা কলকাঠি নাড়ছে তাদের অর্থ এবং পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে প্রতিনিয়ত আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই কিশোর গ্যাং। যে কোনো প্রকারের অপরাধ সংঘটিত করতে এরা এতটাই তৎপর থাকে যে, অপরাধ করার পর এদের কী পরিণতি হতে পারে, সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপই করছে না। কারণ তারা জানে, যে কোনো বিপদ-আপদে তাদের পালনকর্তারা ঠিকই এগিয়ে আসবে। এমন নিশ্চয়তার কারণে কোনো কিছু চিন্তা না করেই জড়িয়ে পড়ছে মারাত্মক সব ধরনের অপরাধে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- কিশোর গ্যাংয়ে যারা এসব অপকর্মে জড়িত তাদের বেশির ভাগই পরিবহন শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক কিংবা দোকান কর্মচারী। স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম। তাদের কাছে জিম্মি এলাকার মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা।