শহরে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা পরিবহন স্ট্যান্ড উচ্ছেদে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার উদ্যোগ না নেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একই সাথে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। মূলত শহরের অবৈধ পরিবহন স্ট্যান্ডগুলো থেকে যে চাঁদা আদায় করা হয় তার একাংশ ক্ষমতাসীন দলের নেতা, বিএনপির নেতা, কতিপয় পুলিশ সদস্য এমনকি সিটি কর্পোরেশনের অসাধু কর্মকর্তা ভাগ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাই বার বার অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে হুংকার দিলেও বাস্তবে স্থায়ী কোন সমাধান মেলেনি। তাই নারায়ণগঞ্জ শহরে যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ডের এখন ছড়াছড়ি। যেখানে সেখানে স্ট্যান্ড গড়ে তুলে নিয়মিত চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শহরের বন্দর ঘাট সংলগ্ন নৌ-ফাড়ির সামনের স্থানে কয়েকটি অবৈধ যানবাহনের স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে।
এই সকল স্ট্যান্ড শহরের যানজটে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও পকেট ভারী হচ্ছে কতিপয় পরিবহন চাঁদাবাজদের।
বিশেষ করে বন্দর ঘাট সংলগ্ন নৌ-ফাড়ির সামনে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ব্যাটারিচালিত মিশুক ও অটো রিক্সার কারণে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতিটি মিশুক থেকে দিনে ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয় বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর ঘাট সংলগ্ন নৌ-ফাড়ির সামনে এক লাইনম্যান সকাল নারায়ণগঞ্জ কে জানান, তিনি গাড়ি প্রতি ১০ টাকা করে নেন। তার নির্ধারিত কোন বেতন নেই এইখান থেকে অটো,মিশুক বা সিএনজি প্রতি ১০ টাকা করে নিয়ে চলেন।এ ব্যাপারে নৌ-ফাড়ির ওসি সব জানেন এবং তিনিই নাকি তাকে অনুমতি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বন্দর ঘাট সংলগ্ন নৌ-ফাড়ির ইনচার্জ মনিরুজ্জামান সকাল নারায়নগঞ্জকে জানান, তিনি আসলে এই লাইনম্যানকে চাকরিতে আসার আগে থেকেই এখানে দায়িত্ব পালন করতে দেখছেন কিন্তু প্রতিটি অটো,মিশুক,সিএনজি প্রতি ১০ টাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তিনি আরো জানান,এই অবৈধ অটো ও মিশুক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা তার দায়িত্ব নয় এগুলা ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত ছয়টি স্ট্যান্ডের বিপরীতে শহর জুড়ে গড়ে উঠা ৩০টি অবৈধ স্ট্যান্ড শহরকে পরিনত করেছে স্ট্যান্ডের নগরী হিসেবে। আর এইসব অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে নগর জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছে নগরবাসী। তীব্র যানজটের কবলে পড়ে মানুষের শ্রম ঘন্টা তো যাচ্ছেই, জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অতি মূল্যবান সময়।