সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় কিংবা সারাদিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় রাস্তার ছিচকে চোরের খপ্পরে পরে হারিয়ে ফেলেছেন মোবাইল ফোন সহ মূল্যবান মালামাল। নারী-পুরুষ সকলকেই পড়তে হচ্ছে এই বিড়ম্বনায়।
নারায়ণগঞ্জের ১২ নং ওয়ার্ড ডনচেম্বার এলাকায় গত ২-৩ মাস ধরে ব্যাপক চুরি বেড়ে গেছে।মহল্লায় প্রায় রাতেই ঘটছে চুরির ঘটনা। চোরেরা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে মোবাইল ফোনসেট, মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ছিচকে চোরদের উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী
সংঘবদ্ধ চোরেরা এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, চুরির সময় কেউ দেখে ফেললে তাকে আঘাত করতেও দ্বিধা করছে না। ডনচেম্বার এলাকায় গত এক মাসে বেশকটি বাসা বাড়িতে চুরি হয়েছে। তার মধ্যে, দিন-দুপুরে সাংবাদিক পরিবারের বাসা থেকে ক্যামেরা,গিম্বল,নগদ টাকা, মোবাইল এছাড়া এলাকার অন্যান্য বাসা হতে ফ্যান,স্বর্ণ, দোকান থেকে সাইকেল চুরির ঘটনাও রয়েছে। মোটকথা, চোরচক্রের দৌরাত্ম্য বড় রকমের উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশের ক্ষেত্রে চুরির সব ঘটনা থানা-পুলিশ পর্যন্ত যায় না। অনেক সময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়েও কাজ হয় না। এসব নানা কারণে চোরের উৎপাত না কমে বরং বাড়ছেই।
ভুক্তভোগীরা জানান, চুরির ঘটনায় তেমন কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না, যার ফলে চোররা অধিকতর সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চোরদের মধ্যে বেশির ভাগ মাদকসেবী। মাদব সেবনের জন্য তাদের টাকার প্রয়োজন হয়। তাদের এই টাকার যোগান দিতেই কোনো উপায় না পেয়ে চুরি-ছিনতাইয়ের কাজ করে।
ইমরান হাসান নামের ভুক্তভোগী বলেন, আমাদের এই ডনচেম্বার এলাকায় প্রায় চুরি হচ্ছে, এলাকার চিন্হিত মাদক সেবীরা এই কাজ করছে, তারা মাদক শুধু সেবন করে না, বিক্রিও করে। তারা সাধারণত গভীর রাতে বাড়িতে হানা দেয়। তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে বাসা বাড়ির সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। চোরের কারণে আমরা অতিষ্ঠ। সব সময় আশঙ্কায় থাকতে হয়। আমরা দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদক্ষেপ কামনা করি।’