আইনের তোয়াক্কা না করে সড়কে উঠে যাচ্ছে তিন চাকার নিষিদ্ধ যান। যাত্রী বহন করে বড় গাড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়ক। এতে করে এক দিকে যেমন আইনের ব্যতয় ঘটাচ্ছে তেমনটি দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে কয়েকগুণ।
দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালের আগাস্ট মাসে দেশের ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এরপর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দেশের সব প্রধান মহাসড়কে তিন চাকার যান না চালানোর আদেশ দিয়ে সেই নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করেন। সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত এক আদেশে বলেন, ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান মহাসড়কে উঠতে পারবে না। তিন চাকার যানের কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় নারায়নগঞ্জের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সাধারন জনগনের মিশুক ও অটো ধরে রেকার বিল করলেও ছেড়ে দিচ্ছে স্টিকার লাগানো গাড়িগুলো। এতে একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে সাধারন মিশুক ও অটোচালকরা।
জানা যায় কতিপয় কিছু সাংবাদিক ১৫০০ টাকার বিনিময়ে এই অবৈধ মিশুক ও অটোতে স্টিকার বা কার্ড প্রদান করে থাকে। বিনিময়ে পুলিশ তাদের কার্ড বা স্টিকার লাগানো থাকলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি না ধরার আশ্বাস দিয়ে থাকেন।
জামাল নামে একজন মিশুক চালক জানান,শহরে স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের ছেড়ে দেন কিন্ত আমার গাড়িতে স্টিকার বা কার্ড না থাকায় তারা আমার গাড়ি ধরে নিয়ে আসছে।
নাম বলাতে অনিচ্ছুক এক অটো চালক সকাল নারায়ণগঞ্জ কে জানান,তার এলাকার এক বড় ভাই সাংবাদিক তিনি তাকে ১৫০০ টাকার বিনিময়ে গাড়িতে স্টিকার বা কার্ড প্রদান করেছে। ট্রাফিক পুলিশ ধরলেই তিনি (অটোচালক) অই কার্ড দেখালে ট্রাফিক পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয় আর বেশি ভেজাল করলে অই সাংবাদিক ভাইকে ফনে কথা বলিয়ে দিলে গাড়ি আর আটকিয়ে রাখেনা।