নারায়ণগঞ্জের ৩নং মাছ ঘাটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ট্যাম্পু ইলিশ। অধিক পরিমানে বাজারে এই মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের। নিষেধাজ্ঞার সময়ে ট্যাম্পু ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ করা নিষিদ্ধ হলেও বন্ধ হচ্ছে না।
সরেজমিনে ৩নং মাছ ঘাট আড়তে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বেশির ভাগ সময় বিক্রি হচ্ছে ট্যাম্পু ইলিশ।ছোট ট্যাম্পু ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকা।
গোপনসূত্রে জানা যায়, ৩ নং ঘাটে যখন যেই ধরনের অবৈধ মাছ প্রবেশ করে যেমন জাটকা,ট্যাম্পো ইলিশ,টেগা পাঙ্গাস ও পাঙ্গাসের পোনাতখন রশিদ পুলিশ প্রশাসন কে ব্যবস্থা করে বিভিন্ন মানুষের নাম করে টাকা উঠায়।বেশ কিছুদিন আগে রশিদ অবৈধ মাছ ব্যবসায়ের দায়ে দেড় লাখ টাকা জরিমানাও দেন।বর্তমানে পুলিশ প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাকে রশিদ নিয়ন্ত্রন করে থাকেন এবং বেশ কিছু ঘর থেকে টাকা উত্তোলন করেন পুলিশের এবং বিভিন্ন সংস্থার নাম ভাংগিয়ে।
সূত্র জানিয়েছেন, মেঘনা, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুরের পদ্মা নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা এই মাছ গুলো ধরে নারায়ণগঞ্জের ৩নং মাছ ঘাট আড়ৎ ও হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রলার দিয়ে প্রতিনিয়ত বড় ইলিশের পাশাপাশি ট্যাম্পু ইলিশ নিয়ে আসছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্কিছু জেলে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল ফেলে নিষিদ্ধ জাটকাসহ নানা প্রজাতির ছোট পোনা ধরছেন। ফলে ইলিশ ও বিভিন্ন মাছের প্রজনন ধ্বংস হচ্ছে। কিন্তু মৎস্য বিভাগ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেই জেলেদের আটক করছে না। নামমাত্র অভিযানে কিছু জাটকা ও জাল জব্দ করলেও অভিযান জোরদার না হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে না।