চুরির ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ১২ নং ওয়ার্ডের বিশেষ করে ডনচেম্বার এলাকার মানুষ। এলাকার এক বধূ বলছেন, ‘‘পাড়ায় এখন দিনের বেলাতেও ঘরে একা থাকা দায় হয়ে উঠেছে। এলাকার প্রায় সমস্ত পুরুষ মানুষই দিনের বেলায় নানা কাজে বাইরে থাকেন। সেই সুযোগে এলাকা ঘুরে পরিদর্শন করে চোরের দল। রাতের দিকে যে ঘরগুলি তালাবন্ধ থাকে, সেখানেই হানা দিচ্ছে চোরের দল।
গত কয়েকদিন আগে জামাল তালুকদার নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক পরিবারের বাড়িতে হানা দেয় চোরের দল। দুষ্কৃতীরা জানালা দিয়ে ঘরে থাকা নগদ টাকা,ক্যামেরা,মোবাইল,গিম্বল চুরি করে চম্পট দিয়েছে বলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই সাংবাদিক পরিবার।এ বারও ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কোনও দিশা পাচ্ছে না নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় পুলিশ কর্তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার দূর অস্ত, এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাটুকুও তারা দিতে পারছে না বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা।
গত একমাসে ১২নং ওয়ার্ডের ডনচেম্বার এলাকায় মোট ৪টি বাড়িতে একই রকম চুরির ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, ‘‘পুলিশ হয়তো দু’এক জনকে ধরে জেলে পাঠাচ্ছে। কিন্তু কোনও ঘটনাতেই চুরি যাওয়া মাল উদ্ধার করতে পারেনি। চুরি আটকে এলাকার মানুষকে নিরাপত্তাও দিতে পারেনি।’’
শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ভরসা পুলিশই। পুলিশ এলাকায় বৈঠক করে আরজি পার্টি গড়ে দিলে ওয়ার্ডের মানুষ তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে অবশ্যই সহযোগিতা করবেন।