নারায়ণগঞ্জ বন্দর ঘাট সংলগ্ন নৌ-ফাড়ির সামনে রাস্তার দুই পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ হকার ও মাঝখান দিয়ে অবৈধ নিষিদ্ধ তিন চাকার বাহনের স্ট্যান্ড।যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘাট পারাপার করে আসা চাকুরিজীবিরা তাদের কর্মস্থলে,পরিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে এবং মুমূর্ষু রোগীরা সময় মত হাসপাতালে উপস্থিত হতে পারছেনা যানজটের কারনে।
আজ শনিবার বেলা একটার দিকে নারায়ণগঞ্জ নৌফাড়ি ও মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে অটোরিকশা ও মিশুকের অবৈধ স্ট্যান্ড দেখা যায়। এ সময় সড়কের উভয় পাশে এক থেকে দেড় ঘন্টা করে যানজটে আটকে থাকতে হয়। এ ছাড়া লঞ্চ টার্মিনালের সামনে সড়কের দুই পাশেও অটোরিকশা ও ইজিবাইক সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। এখানে যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের।
বন্দর ঘাটের সামনে একজন পোশাকবিহীন লাইনম্যানের দেখে মেলে যে নাকি গাড়ি প্রতি ১০ টাকা এবং প্রতিটি দুকান থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে নিচ্ছে।
তার কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সকাল নারায়নগঞ্জকে জানান,তাকে নাকি খুশি হয়ে মিশুক ও অটোচালিত রিক্সার ড্রাইভার ১০ টাকা করে দেন। এমনকি তিনি এটাও জানান, তার কোন বেতন নেই এখান থেকে যা পান তা দিয়েই তিনি চলেন এবং এই ১০ টাকা ও দুকানের টাকার ব্যাপারে নাকি নৌ-ফাড়ির ওসি পর্যন্ত জানেন।
এ ব্যাপারে বন্দর ঘাট সংলগ্ন নৌ-ফাড়ির ইনচার্জ মনিরুজ্জামান সকাল নারায়নগঞ্জকে জানান, তিনি আসলে এই লাইনম্যানকে চাকরিতে আসার আগে থেকেই এখানে দায়িত্ব পালন করতে দেখছেন কিন্তু প্রতিটি অটো,মিশুক,সিএনজি প্রতি ১০ টাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তিনি আরো জানান,এই অবৈধ অটো ও মিশুক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা তার দায়িত্ব নয় এগুলা ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব।