নারায়ণগঞ্জ শহরের ডনচেম্বার এলাকা থেকে ১২ বছরের শিশু অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগে মাদক ও দুটি সাংবাদিকতার কার্ডসহ (কথিত) সাংবাদিক আশিকুজ্জামান আশিক গ্রেফতার।
৭ই নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে কাশিপুর এলাকা থেকে ইসমাম ও বিথি অপহরনের অভিযোগে ডনচেম্বার এলাকায় জাহিদ হোসেন ভূইয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া জামাল উদ্দিনের ছেলে আশিকুজ্জামান আশিককে (২৭) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাসায় যাওয়ার পর মাদকসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায় আশিকুজ্জামান আশিক দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবনে জড়িত।শহরের আমলাপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী শুভর মাদক আশিক বিক্রি করত এছাড়া মেট্রোহল,হকার্স মার্কেটসহ কয়েকটা এলাকায় শুভর মাদক বিক্রি হয়ে থাকে।
ঘটনাস্থলে দেখা যায় পুলিশ আশিককে গ্রেফতার করতে আসলে আশিক ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকেন পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের উপস্থিত রেখে পুলিশ দরজা ভেংগে আশিককে ঘরের উপরের স্টোররুম থেকে আটক করে।পরে আশিক ও অভি কে গ্রেফতার করার পরো তাদের সহযোগীতায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অন্য দুই নারী সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।গ্রেফতার করার সময় আশিকের নিকট সময়ের চিন্তা ও বাংলাদেশ কথা অনলাইন নিউজ পোর্টালের দুটি সাংবাদিকতারকার্ড উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে ৭ তলা ভবনে আশিক মাদক ব্যবসা,মাদক সেবন ও নারী নিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করতো।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর রুপন সরকার জানান, কাশিপুর এলাকার দুটি মেয়ে চাষাড়া শহীদ মিনার থেকে অপহরনের অভিযোগ দায়ের করা হলে সেই পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডনচেম্বার এলাকার বাসিন্দা আশিকুজ্জামান আশিকের বাসায় যাওয়ার পর অনেক ডাকাডাকি করার পরো দরজা না খুল্লে এক পর্যায়ে এলাকার মুরুব্বি এবং সাংবাদিকদের সামনে রেখে দরজা ভেংগে মাদক সহ আশিকুজ্জামান আশিক ও অভি নামক দুইজনকে আটক করা হয়।
অপহরনকারীর মূল হোতা রুনা জানান,তিনি দীর্ঘদিন যাবত এই নারী ব্যবসায়ের সাথে জড়িত এবং তার সহযোগী হিসেবে আশিক,অভি ও সুমি সহ আরো বেশ কয়েকজন এই নারী ব্যবসায়ের সাথে জড়িত।
অপহরনকৃত বিথি জানান,ইসমাম ও তাকে শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনার এলাকা থেকে অজ্ঞাত একজন মহিলা তাদের দুইজনের সাথে কথার মাধ্যমে ভালো একটা সম্পর্ক স্থাপন করে তাদেরকে শহীদ মিনার থেকে মুরগির চাপ ও লুচি খাওয়ানোর পর তাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় এবং এক পর্যায়ে আলীগঞ্জ ঘাট পার হয়ে পানগাও এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায়। পরে ওই বাসায় অবস্থানরত কয়েকজন ব্যাক্তি বিথিকে চলবে না কিন্ত ইসমামকে চলবে বলে বিথিকে ছেড়ে দেয় এবং ইসমামকে রেখে দেয়।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।