ফতুল্লার তল্লা থেকে গলায় ফাসঁ লাগানো পারভেজ শেখ ওরফে ইস্রাফিল (২০) নামক এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত দেড় মাস আগে প্রেমের সূত্রধরে তানিয়া নামে এক নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই গার্মেন্টসে চাকরী করতেন।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর তল্লাস্থ শরাফত আলীর ভাড়া বাসা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত পারভেজ শেখ ওরফে ইস্রাফিল মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার কোলা গ্রামের আব্বাস শেখের পুত্র। সে তার স্ত্রী কে নিয়ে উত্তর তল্লাস্থ শরাফত আলীর বাসায় বসবাস করতো।
নিহতের স্ত্রী তানিয়া জানায়, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহতের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত দেড় মাস পূর্বে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। ১ নভেম্বর তারা তল্লাস্থ শরাফত আলীর বাড়ীতে ভাড়ায় আসে এবং উভয়েই গার্মেন্টেসে চাকুরি নেয়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সে সহ তার স্বামী রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। ভোর সকাল ৫টার দিকে সে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় রুমের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচানো স্বামীর ঝুলন্ত লাশ। কি কারণে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারছে না।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সোহাগ সাহা জানান, সংবাদ পেয়ে সকাল সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহত পারভেজ শেখ ওরফে ইস্রাফিল কিছুদিন আগে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই গার্মেন্টেসে চাকুরি নিয়ে চাকুরি করে আসছিলো। পরিবারের সদস্যরা বিয়ে মেনে না নেওয়ার কারণেই হয়তো মনের কস্টে আত্মহত্যা করেছে।