নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে জুয়ার বোর্ডের আলোচিত দু’টি নাম কুখ্যাত জুয়ারী ছোট শাহজাহান ও বড় শাহজাহান।
পরিবহন জগতের সাথে থাকা বড় শাহজাহানের ব্যাপক পরিচিতি থাকার ফলে জুয়ার আসরেও তেমন নাম ভেসে উঠে এ শাহজাহানের। অথচ ১নং রেলষ্টেশনের অসাধু কিছু কর্মকর্তার জোগসাজসে সরকারী বিদ্যুৎ ফুটপাতের দোকানে ভাড়া দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া ছোট শাহজাহানও এখন শহর ও শহরতলীতে প্রতিটি জুয়ার বোর্ডের পার্টনার বনে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
নারায়নগঞ্জের কালিরবাজার, বাসস্ট্যান্ড,জিমখানা,ভূইঘর,হাজীগঞ্জ সহ বেশীরভাগ এলাকায় চলে বড় শাহজাহান ও ছোট শাহজাহানের এই জুয়ার আসর।
তবে দুই জুয়ারী শাহজাহানের মধ্যে ছোট শাহজাহান সবসময় থাকে লোক চক্ষুর অন্তরালে।
মহানগরীর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিআইডব্লিউটিএ ফ্লোটিং ওয়ার্কাস ইউনিয়ন সংলগ্ন পতিত ভূমিতে বেশ ক’বছর যাবৎ বোর্ড বসিয়ে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। সদর থানার স্ট্যান্ড এলাকার ওই বোর্ডে দিনরাত অবিরাম জুয়া খেলার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা হয়। তবে বর্তমানে জুয়ারী শাহজাহান জিমখানা লেক পাড় কাটের দু’তলায় জুয়ার আসর বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মাসুম নামের এক ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবী করে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এবং স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদেরকে হাত করে ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন শাহজাহানের জুয়ার আসরের।
ছোট শাহজাহান বেশ কয়েকবার জুয়া,বিদ্যুৎ চুরি ও মাদক মামলায় ডিবি,র্যাব ও সদর মডেল থানায় একাধিকবার গ্রেফতার হওয়ার পরো জামিনে বের হয়ে আবার শুরু করেন অপরাধ কার্যক্রম।