কাজের সন্ধানে কুমিল্লা থেকে ফতুল্লায় এসে কাজ না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে ইরফান (১৬) নামক এক কিশোর। নিহত ইরফান কুমিল্লা জেলার বাংঙ্গরা থানার পাকবলীঘরের রাজাবাড়ীর মেহেদী হাসান ওরফে বাস্তব হোসেনের পুত্র।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিহত ইরফান বাদীর প্রথম স্ত্রীর সন্তান। বাদী নিজ গ্রামে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে অপরদিকে বিচ্ছেদের পর তার প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ে করে ইটালিতে অবস্থান করে আসছে। বিষয়টি কিছুদিন পূর্বে নিহত ইরফান জানতে পেরে মানসিক ভাবে চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরে।
১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিহত ইরফান কাজের সন্ধানে তার পরিচিত কয়েক বন্ধুর সাথে ফতুল্লায় আসে। তারা ফতুল্লা মডেল থানার ভুইগড় মাহমুদপুর পশ্চিম পাড়া মাদ্রাসা রোডস্থ আসমা আক্তারের বাড়ীর নিচতলায় ভাড়া নেয় এবং সেখানে থেকে কাজের সন্ধান করতে থাকে।
কিন্ত সে পছন্দসই চাকুরী না পেয়ে মানসিক ভাবে আরো বেশী করে ভেঙ্গে পরে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে নিহতের বন্ধুরা সকলেই নিজ নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। চলে যাওয়ার সময় রুমের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে যায়।
নিহত ইরফান ফ্ল্যাটের উত্তর পার্শ্বের গ্রিলের সাথে কাপরের বেল্ট দিয়ে গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্নহত্যা করে। সংবাদ পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তালা ভেঙ্গে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, ছেলেটি হতাশায় ছিলো। হতাশা থেকে সে আত্নহত্যা করেছে। এ বিষয়ে নিহতের বাবা থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।