নারায়ণগঞ্জ শহরের বেশিরভাগ রাস্তায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। তবে পথে ওৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা দিনে-দুপুরেও ছিনতাই করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার মাঝেও বেড়েছে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে, টার্মিনালে, বাস স্টপেজে এবং বিভিন্ন সড়কে যানজটে আটকে থাকা যানবাহন থেকে অহরহ মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ওসব দুর্বৃত্তরা শুধু ছিনিয়ে নিয়েই ক্ষান্ত নয়। বাধা পেলেই তারা হামলে পড়ে। ছুরিকাঘাত করে প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের বেশিরভাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে কালির বাজার,চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে,সোনালী ব্যাংকের সামনে,জিয়া হলের সামনে,রাইফেল ক্লাবের সামনে,২ নং রেল গেইট,গলাচিপা,খানপুর এদের সক্রিয় থাকতে বেশি দেখা যায়।
পুলিশি নিরাপত্তার ঢিলেঢালাভাব থাকার সুযোগটা ছিনতাইকারীরা নিচ্ছে। মধ্যরাত থেকে কোলাহলমুক্ত ভোরেই বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ করলে দুর্বৃত্তরা আগ্নেয়াস্ত্র বা ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে। ছিনতাইকারীরা কখনও মোটরসাইকেল, কখনও প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস নিয়ে পথচারী বা রাস্তায় অপেক্ষমাণ ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ফোন সেট, মূল্যবানসামগ্রী, ভ্যানিটি ব্যাগ, গলার চেন ছিনিয়ে নেয়।
ছিনতাইকারীরা ৩-৪ জন করে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে মূলত অপরাধ সংঘটিত করে। ছিনতাইয়ের কাজে বেশিরভাগ ছিনতাইকারী মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস ব্যবহার করে। গোয়েন্দা সংস্থার ভুয়া পরিচয় দিয়েও ছিনতাইকারীরা মানুষের সর্বস্ব লুটে নেয়। আর ২০টির বেশি চক্র রয়েছে যারা শুধু মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। ওসব মোবাইল সেট তারা আইএমই নাম্বার পরিবর্তন করে বিক্রি করে দেয়।