1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
খানপুর হাসপাতালে রোগীদের থেকে দালাল চক্রের সংখ্যা বেশি - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্টে মোদির ম্যাজিক কাজে আসেনি মধুখালির হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে প্রয়াত জন‌নেতার ১০ম মৃত‌্যুবা‌র্ষিকী‌ উপলক্ষে হাজীগঞ্জ শাহী  মসজিদে মিলাদ ও দোয়া।  আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কালীগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান(উড়োজাহাজ) প্রার্থী কর্মীদের হুমকি মদনগঞ্জে না‌সিম ওসমা‌নের মৃত‌্যুবা‌র্ষিকী‌তে- উজ্জ্বলের উদ্যো‌গে দোয়া ও খাবার বিতরণ রূপগঞ্জে প্রার্থীতার বৈধতা হরিয়েছেন সেলিম প্রধান, পাচ্ছেন না প্রতীক বরাদ্দ টিফিনের টাকায় পথচারীদের শরবত খাওয়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা নাসিম ওসমানের ১০ম তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং  এলাকাবাসীর জন্য দোয়া ও নেওয়াজ বিতরণ  নাসিম ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে -শাহেন শাহ ও রায়হানের উদ্যোগে দোয়া ও কাঙ্গালী ভোজ নাসিম ওসমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মধ্যনরসিংপুরে আনোয়ার হোসেনের উদ্যোগে দোয়া ও কাঙ্গালী ভোজ নাসিম ওসমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলো হাবীব কমপ্লেক্স ফেডারেল কমিটি 

খানপুর হাসপাতালে রোগীদের থেকে দালাল চক্রের সংখ্যা বেশি

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২
  • ৭৫ Time View
  • সকাল নারায়নগঞ্জ

 

নারায়ণগঞ্জ এর দুইটি সরকারী হাসপাতালের মধ্যে অন্যতম একটি খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। অন্যান্য সরকারী হাসপাতালের মতো এখানে ডাক্তার সংকট থাকলেও সংকট নেই প্রতারক কিংবা দালাল চক্রের সদস্যদের। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে এখানে সেখানে লিখে রেখেছেন প্রতারক ও দালাল হইতে সাবধান। হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে টিকেট কাউন্টারের সামনে রোগীদের লম্বা লাইন। এটুকুই শেষ নয় ডাক্তার পর্যন্ত পৌঁছাতে রোগীদের লাইনে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।

 

নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যার হাসপাতালে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনেরা। তাঁদের অভিযোগ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে এক দালাল চক্র। দালালদের কাছে ধরনা দেওয়া ছাড়া মেলে না কোনো সেবাই। কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবলসংকটের কারণেই এমনটা ঘটছে। তাঁরাও দালাল চক্রের কাছে অসহায়।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, বহির্বিভাগে ২০ টাকার টিকিট কিনে লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন রোগীরা। কিছু রোগীকে ১০০–২০০ টাকা ঘুষের মাধ্যমে লাইন ভেঙে আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব করছেন হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী। আবার ডাক্তার দেখানোর পর আরেক ভোগান্তি। ডাক্তারের রুম থেকে বের হলেই সেই রোগীকে নিয়ে টানাটানি করছেন বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিকের দালালেরা। বহির্বিভাগের রোগী ও ভর্তি হওয়া রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চলে প্রতিযোগিতা। এর বাইরে রোগীদের সঙ্গে হাসপাতালের দারোয়ান ও কর্মচারীদের অশোভন আচরণ তো আছেই।

 

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের কয়েকজন বলেন, দালাল চক্রের সঙ্গে কিছু চিকিৎসক ও কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। হাসপাতালের এক কিলোমিটারের মধ্যেই গজিয়ে উঠেছে নানা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। দালাল চক্রের সদস্যরা এসব ক্লিনিকে কমিশনের বিনিময়ে হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যান।

 

এ ছাড়া হাসপাতালে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকলেও শুধু কমিশন পাওয়ার আশায় চিকিৎসকেরা ব্যবস্থাপত্রে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাওয়ার জন্য লিখে দেন। ওষুধ কেনার ক্ষেত্রেও ঘটে একই ঘটনা। হাসপাতাল–ঘেঁষা ওষুধের দোকানগুলো থেকে ওষুধ কেনায় উৎসাহিত করার জন্য হাসপাতালে ওষুধ নেই বলে প্রচার চালানো হয়।

 

অন্যদিকে হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে বাধ্য করতে রোগীদের বলা হয়, সরকারিগুলো নষ্ট বা অন্য জায়গায় গেছে। প্যাথলজি বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হয় না প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে। বিএসএস, ইলেকট্রোলাইট, হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে হয়।

 

নগরীর শিবুমার্কেট থেকে আসা জাহিদ হাসান অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তারদের সঙ্গে দালালচক্রের সদস্যরা যোগাযোগ করেই এসব কাজ করছেন। তাঁরা নিয়মিত ডাক্তারদের কক্ষে ও বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে রোগীদের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠান।

 

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL