গোগনগরের এক প্রবাসী যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন সোনারগাঁয়ের মধ্যবয়সী এক নারী। তার দাবী বিয়ের প্রলোভনে মদনপুরের সাইরা গার্ডেনে নিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। গত ২৫জুলাই রাতে বন্দর থানা পুলিশ ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি গ্রহণ করেন। যার মামলা নং-৪৭(০৭)২২ইং।
অভিযুক্ত যুবকের নাম হৃদয় মিয়া (৩২)। সে নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীণ আলীরটেকের পুরাতন গোগনগরের মো. ইদ্রীস আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ভয়ভীতি প্রদানের অভিযোগে ইদ্রীস আলীর বড় ছেলে সুমন (৪০) ও স্ত্রী মোসা. আমিনা বেগম (৬০)কেও আসামী করা হয়।
অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন,ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত হৃদয় মিয়া সূদুর ওমানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে পরিচয় হয় সোনারগাঁয়ের ভুক্তভোগী ৩৩ বছর বয়সী ওই নারীর সাথে। এক পর্যায়ে প্রেম ভালোবাসার সর্ম্পক হয় তাদের মাঝে। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী বাংলাদেশে আসেন হৃদয়। এরপর সেই নারীকে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান। মদনপুরের সাইরা গার্ডেনে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ওই নারী বিয়ের কথা বললে সে নানা তাল বাহানা করে সময় ক্ষেপন করে। সর্বশেষ ৩১মে ওই নারীকে বিয়ে করবে বলে প্রবাসী যুবক হৃদয় মদনপুর ষ্ট্যান্ডে আসতে বললে বিয়ের কাজী আসবে বলে পূণরায় মদনপুর সাইরা গার্ডেনে আবাসিক হোটেলে নিয়া যায়।
পরে বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া আবারো শারিরীকভাবে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিয়ে করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত হৃদয়ের বাড়িতে যান ভুক্তভোগী নারী। তার ভাই ও মাকে সবকিছু জানালে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক হৃদয়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই ধর্ষিতা নারীকে নারায়ণগঞ্জ জেলারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা শেষে ২২ ধারায় কোর্টে প্রেরন করেন।
বন্দর থানার পুলিশের পরির্দশক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান ‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’