সকাল নারায়ানগঞ্জঃ ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে তিন ছাত্রকে কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করছে দুর্বিত্তরা। এ ঘটনায় দুইজন কে আটক করেছে পুলিশ।
ফতুল্লার দক্ষিন সস্তাপুর এলাকায় বুধবার (১ জানুয়ারি) রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো সস্তাপুর এলাকার মৃত. সালাম প্রধানের ছেলে সাকিব তার বন্ধু শরীফ ও নাহিদ।
এসময় এবং দুই ছাত্রকে লোহার রড দিয়ে মারধরসহ সাকিবকে বুকে ছুরিকাঘাত করা হলে তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ খাদেম ও সাহেদ নামে দুই জনকে একটি রাম দা ও একটি ছুরিসহ গ্রেফতার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকাস্থ ডিশ জামানের অনুসারী সংঘবদ্ধ সন্ত্রসীদের আতংকের মধ্যে দিন কাটায় এলাকাবাসী। হামলাকরীরা সেই গ্রুপেরই সদস্য। এদের শেল্টারদাতাসহ পুরো গ্রুপটিকে গ্রেফতারের দাবি জানান এলাকাবাসী।
আহত সাকিবের বড় ভাই উজ্জল জানান, ছোট ভাইসহ আহত অপর দুজন সরকারী তোলারাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বাড়ির কাছেই একটি ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে বন্ধুদের নিয়ে খেলাধুলা করছিল সাকিব। হামলাকারী আকাশ, সম্রাট, তপু, ইহাম, রিফাত, রাফিন, পায়েল, কমল, রুবেল, সাব্বির, রাকিবসহ ১৫-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ ইসদাইর ও সস্তাপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। ২৬ আগস্ট ইসদাইর কাপুরাপট্টি এলাকায় প্রায় ৩০-৩৫টি দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে তারা ক্যাশ ভেঙ্গে টাকা পয়সা লুট করে । এ অভিযোগে ওই সন্ত্রাসীদের পুলিশ গ্রেফতার করে। সম্প্রতি জামিনে এসে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
গত কয়েকদিনে ধারালো ছুরি ও রাম দার ভয় দেখিয়ে ইসদাইর ও সস্তাপুরসহ দুটি এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে রিকশা চালক, ভ্যান চালক ও গার্মেন্টস কর্মীসহ প্রায় অর্ধশত সাধারণ লোকজনদের মারধার করে তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের উল্টো মারধর করে আহত করে। ৩১ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিন সস্তাপুর এলাকায় হারুনের চা-পানের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ওই সন্ত্রাসীরা। একই দিন একজন পিকআপ ভ্যানের চালককে মারধর করে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বুধবার রাতে অকারণে আমার ভাই ও তার বন্ধুদের উপর খেলার মাঠে গিয়ে হামলা চালায়। এ বিষয়ে মামলা করেছি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, কোন সন্ত্রাসীকে ছাড় দেয়া হবে না। যারা পূর্বে গ্রেফতার হয়ে জামিনে এসে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে এখন আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।