সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
আগামীকাল ঈদ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। তবে পাচ্ছেন না বাস। তাই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক, পিকআপে করে বাড়ি যাচ্ছেন তারা। নারায়ণগঞ্জ-
গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শুক্রবার দিনভর যানজটে নাকাল হওয়ার পর শনিবার (৯ জুলাই) কিছুটা স্বস্তি নিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছেন।
তবে রয়েছে পরিবহন সংকট। এই সংকটের কারণে ৫০০ টাকার ভাড়া দেড় দুই হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। ভাড়া বেশি চাওয়ায় অনেক যাত্রীকে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকেই ট্রাক, লেগুনা, পিকআপ, অটোরিকশায় করে দূরপাল্লার পথ পাড়ি দিচ্ছেন।
সরেজমিনে চন্দ্রা ত্রিমোড়ে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর ও বগুড়া যেতে যাত্রীদের খরচ পড়ছে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। আর রংপুর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জন্য ভাড়া গুণতে হচ্ছে ১৩০০ থেকে ২ হাজার টাকা। তবে এসব গাড়ির মধ্যে অধিকাংশ ফিটনেসবিহীন। যে সব পরিবহন গাজীপুরে চলে সেগুলোই এখন দূরপাল্লার বাস।
গাইবান্ধার যাওয়ার জন্য অরিন ট্রাভেলস ভাড়া চাচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
রাকিব হাসান নামে এক যাত্রী বলেন, এখান থেকে গাইবান্ধা যেতে যদি ১ হাজার ৫০০ টাকা লাগে। তবে সেখান থেকে বাড়িতে যেতে আরও লাগবে ২০০ টাকা। কিন্তু কিছু করার নেই, তবুও যেতে হবে।
নওশা ইসলান নামে এক যাত্রী বলেন, গত বৃহস্পতিবার কারখানা ছুটি হয়েছে। যানজট দেখে বের হয়নি। ভেবেছিলাম ঈদের আগের দিন লোকজন কম থাকবে যানজটও থাকবে না। কিন্তু ২ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। বাস পাচ্ছি না। সবাই ঝুঁকি নিয়ে গরুর ফিরতি ট্রাকে উঠে যাচ্ছে। আমি ট্রাকে যাব না বলেই বাসের জন্য অপেক্ষায় আছি। জানি না আদৌও পাব কি না।
এদিকে, ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা পথে ভোগান্তি কমাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মহাসড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ অফিসার।