সকাল নারায়ণগঞ্জ
অস্বাভাবিক চড়েছে সালাদ জাতীয় সবজির দাম। আহমাদ ওয়াদুদের ছবি।
ঈদকে সামনে রেখে আরেক দফা দামের উত্তাপ ছড়িয়েছে কাঁচাবাজারে। অস্বভাবিক চড়েছে সালাদ জাতীয় সবজির দাম। স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরসের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে একশো থেকে দেড়শো টাকা। দাম বৃদ্ধির জন্য বিক্রেতারা দুষছেন পরিবহন সংকটকে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, তদারকি না থাকায় খেয়াল-খুশিতে নির্ধারিত হচ্ছে দাম।
ঈদের ছুটিতে রাজধানীর বাজারগুলোতে ক্রেতার আনাগোনা তুলনামূলক কম। অন্যান্য দিনের তুলনায় সবজির বাজারে পণ্যের চাহিদাও কম। কিন্তু এর কোনো প্রভাব নেই দামে। বরং সালাদ জাতীয় পণ্যের বাড়তি চাহিদা থাকায় দাম বেড়েছে আরও এক দফা। এক কেজি টমেটোর জন্য গুণতে হবে দুশো টাকা। দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে শসা আর গাজরের দাম হয়েছে ১২০ টাকায়, আর এক কেজি কাঁচামরিচের জন্য দিতে হবে ১৪০ টাকা।
তবে বেশিরভাগ সব্জি মিলছে ৪০ টাকা কেজিতে। বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় গ্রীষ্মকালীণ কিছু সবজির জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকার বেশি।
ক্রেতার সবচেয়ে বড় অস্বস্তির জায়গা মাছ বাজার। ট্রাকগুলো কোরবানির পশু আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তাই মাছ আমদানির জন্য পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় পরিবহন। এমন অজুহাতে দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। বেশিরভাগ মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে একশ থেকে দুইশ টাকা পর্যন্ত। এক কেজি আকারের ইলিশের জন্য দিতে হবে বারোশ থেকে তেরোশ টাকা পর্যন্ত।
অবপরিবর্তিত আছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের বাজার। এক কেজি দেশি পেঁয়াজ মিলছে ৫০ টাকায়।